এ দিন দেশে ফিরে বিএনপির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তারেক। অনুষ্ঠান শেষে অসুস্থ মা খালেদা জিয়ার পাশে সময় কাটাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এসময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।
মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন। সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে গুলশানে নিজ বাসভবনের উদ্দেশে এভারকেয়ার হাসপাতাল ত্যাগ করে তারেক রহমানকে বহনকারী গাড়িবহর।
এর আগে, সন্ধ্যা ৫টা ৫২ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান তারেক রহমান। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমান হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ আগে সেখানে পৌঁছান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তারেক রহমানের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
এর আগে, সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে ফ্লাইটটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। লন্ডনের স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে ও বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে সপরিবারে যাত্রা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন:
বিমান সূত্র জানায়, ফ্লাইট বিজি-২০২, বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজে করে আসেন তারেক রহমান। রুটটি লন্ডনের হিথ্রো-সিলেট-ঢাকার। এতে উচ্চপদস্থ যাত্রী থাকার কারণে বিমান পরিচালনায় বিশেষ সমন্বয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়।
বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের জুলাই-৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে (৩০০ ফিট) স্থাপিত গণসংবর্ধনা মঞ্চে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এরপর তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
খালেদা জিয়াকে দেখার পর তারেক জিয়ার পরবর্তী গন্তব্য ছিল গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ি। গুলশানের এ বাড়িটি কেবল একটি আবাস নয়, এটি জিয়া পরিবারের রাজনৈতিক ইতিহাসের অংশ। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর তৎকালীন সরকার বাড়িটি খালেদা জিয়ার জন্য বরাদ্দ করেছিল। সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িটির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়।





