সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল জাতীয় যুব নেটওয়ার্ক (এনওয়াইএন) গঠনের ভিত্তি তৈরি করা; যা নীতিনির্ধারণ ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যুবদের কণ্ঠস্বর জোরালো করতে একটি অভিন্ন জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। বিভিন্ন অঞ্চল ও পটভূমি থেকে আসা অংশগ্রহণকারীরা আলোচনা, ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশন, অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নিয়ে অভিন্ন অগ্রাধিকার ও অঙ্গীকার নির্ধারণ করেন।
সম্মেলনের শেষ দিনে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও জীবিকায়ন বিভাগের পরিচালক তানিয়া শারমিন একটি সম্মিলিত অঙ্গীকার সেশন পরিচালনা করেন। এ সময় অংশগ্রহণকারী যুবরা আগামী ছয় মাসে যুব নেটওয়ার্কে কীভাবে অবদান রাখবেন, সে বিষয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত অঙ্গীকার লিখে দেন। এ উদ্যোগের মাধ্যমে নেতৃত্ব ও সক্ষমতা বৃদ্ধি, নীতি ও সামাজিক পরিবর্তনে যুবদের কণ্ঠস্বর জোরালো করা, কর্মসংস্থানযোগ্যতা ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, জলবায়ু কার্যক্রমে সম্পৃক্ততা এবং উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
সম্মেলনের প্রথম দিনে অনুপ্রেরণামূলক বক্তা হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের তিনজন খেলোয়াড়। তারা তরুণদের আত্মবিশ্বাস ও নেতৃত্বের গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয় দিনে ‘ইনস্পিরেশন টক’ সেশনে বক্তব্য দেন পর্বতারোহী ও সাংবাদিক মো. মুসা ইব্রাহিম। তিনি বলেন, ‘পাহাড় আমাকে শিখিয়েছে, কোনো কাজই ছোট বা বড় নয়। এখানে উপস্থিত প্রত্যেকেই একজন করে নেতা। নিজের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করুন এবং নেতৃত্ব দেয়ার জন্য কাজ করে যান।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘সেভ দ্য চিলড্রেন যেভাবে যুবদের একত্রিত করছে, তা ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘যুবদের সহায়তায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে যুব কণ্ঠস্বরভিত্তিক একটি শক্তিশালী প্রক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।’
সম্মেলনের সমাপনী সেশনে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর এ এস এম রহমত উল্লাহ বলেন, ‘তরুণদের জীবনের এই সময়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক দিকনির্দেশনা ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে তারা যেন সমাজ ও দেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে পারে, এটাই এ নেটওয়ার্কের মূল উদ্দেশ্য।





