তিনি বলেন, ‘হিন্দুস্তানের আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাসে ঘৃণা জানাতে এসেছিলাম। অতীতে একাধিকবার মিছিল নিয়ে আসায় পুলিশ আটকে দিয়েছিল। তাই এবার দেশের মানুষের পক্ষ থেকে একা এসেছি; সাথে ছিল ভারতীয় দূতাবাসে দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক ভাষায় কর্তৃত্ব প্রতিরোধের প্রতীক, কালো গোলাপ। তবুও পুলিশ দিয়ে আটকে দেয়া হলো। হিন্দুস্তান বাংলাদেশের ফুলকেও ভয় পায়।’
আরও পড়ুন:
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘গতকাল দিল্লিতে রাত ৯টায় বাংলাদেশি দূতাবাসে হামলা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ বাধা দেয়ার বদলে পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছে আর হেসেছে। আর আমার দেশের পুলিশ সুশীল অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ভারতীয় দূতাবাসে নিরস্ত্র একক ব্যক্তি আমাকে ঘৃণা প্রদর্শন ও একটি কালো গোলাপ প্রদানে বাধা দেয়। এই নতজানু পররাষ্ট্র নীতি দিয়ে হবে না। হিন্দুস্তানের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে। ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবর রচনা করতে হবে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে রাশেদ প্রধান বলেন, ‘গণহত্যাকারী হাসিনা ও হাদির হত্যাকারীদের ফেরত দিন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। সীমান্তে হত্যা, অবৈধ পুশ-ইন ও ভূমি দখল বন্ধ করুন। পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিন। আমাদের আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য করবেন না’
উল্লেখ্য, আজ ভারতীয় দূতাবাসে ঘৃণা প্রদর্শনের উদ্দেশে, ওসমান হাদীকে গুলি করার স্থান পল্টন বক্স কালভার্ট রোড থেকে গুলশান ভারতীয় দূতাবাস পর্যন্ত একা পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন রাশেদ প্রধান। যাত্রা পথে দেশপ্রেমিক অসংখ্য মানুষ তার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে যোগ দেন। ৬ কিলোমিটারের অধিক পথ হেঁটে পাড়ি দেয়ার পর পুলিশ বাড্ডা লিঙ্ক রোডে তাকে বাধা প্রদান করে।





