সারজিস বলেন, ‘বিএনপি বা জামায়াতের সাথে অ্যালায়েন্সের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেব না। আলোচনা এখনো চলছে। যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে থাকবে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম সেন্টিমেন্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি যারা ধারণ করতে পারবে তাদের সাথে অ্যালায়েন্সের পথ এখনো খোলা আছে। খুব শিগগিরই এটার আমরা সুন্দর সমাধান দেখতে পাবো। মাঝে আমাদের জোট ঘোষণার কথা ছিলো। কিন্তু এই জোট ঘোষণার যে রূপরেখা ও বিস্তৃতি আরও বড় হওয়া প্রয়োজন মনে করি। আশা করছি শিগগিরই বড় আকারে জোট প্রকাশিত হবে।’
আরও পড়ুন:
সদ্য ঘোষিত পঞ্চগড় জেলা কমিটিতে জাতীয় পার্টির তিন নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সারজিস বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেই মানুষগুলোর ভালো ইমেজ আছে, যারা মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং ভালো রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সচেতনতা আছে আমরা তাদের নেয়ার চেষ্টা করেছি। একটা শর্ত সব সময় আমাদের ছিলো যারা গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের যে কোন ইউনিটে রানিং পদধারী ছিলো তাদেরকে আমাদের আহ্বায়ক বা সমন্বয় কমিটিতে শুধু পঞ্চগড়ে নয় বাংলাদেশের কোথাও রাখি নাই। আবার রানিং ছিলো না বাট লোকটার ইমেজ ভালো। আমাদের এখানে বেশ কয়েকজন মানুষ আছেন যারা পূর্বে বিএনপি, জাগপা ও জাতীয় পার্টির সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো। কিন্তু চব্বিশে তারা রানিং কোনো পদ পদবিতে ছিলেন না। তারা বলেছে ওই সময়ে তারা রাজনৈতিক রীতিনীতি, নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলাসহ সামগ্রিক বিষয়ে তারা বিরক্ত হয়ে ওই আদর্শের সাথে মেলাতে না পেরে তারা রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়েছিল।’
সারজিস বলেন, ‘এখন তারা দেখছে এনসিপি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সিন্ডিকেট, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং নতুন রাজনীতির চর্চা করছে এবং লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাই তারা এনসিপিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরাও তাদের খোঁজ খবর নিয়ে তাদের এনসিপিতে নিয়ে এসেছি। আমরা একসাথে কাজ করে আগামীর প্রত্যাশিত পঞ্চগড়কে গড়ে তুলবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গত তিন মাসে দুইশো মসজিদ মন্দিরের জন্য প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ এনেছি। যা গত বিশ বছরে বড় বড় এমপি মন্ত্রীরা আনতে পারেনি।’
এ সময় এনসিপির জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মী ও জাতীয় যুব শক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।





