বাংলাদেশে কারা ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি; তারা কী সুবিধা পান?

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগো | ছবি: এখন টিভি
0

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের তিনটি প্রধান ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছে: ভিভিআইপি (VVIP), ভিআইপি (VIP), এবং সিআইপি (CIP)। শব্দগুলোর সঙ্গে আমরা পরিচিত হলেও তিনটি শীর্ষ ক্যাটাগরির ব্যক্তিকে কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, তা অনেকেরই অজানা।

আরও পড়ুন:

প্রশাসনিক প্রটোকল অনুযায়ী, রাষ্ট্রের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা হলেন ভিভিআইপি (VVIP - Very Very Important Person), যারা সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা ও সুবিধা ভোগ করেন। ভিভিআইপি-এর পরের ধাপে আছেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা, যাদের বলা হয় ভিআইপি (VIP - Very Important Person)। অন্যদিকে, সিআইপি (CIP - Commercially Important Person) নির্ধারিত হয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্বারা। ব্যবসা-বাণিজ্যে অসামান্য অবদানের ভিত্তিতে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে এই মর্যাদা দেয়া হয়। এই বিশেষ শ্রেণিবিন্যাসের মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা এবং রাষ্ট্রীয় সম্মান নিশ্চিত করা হয়। প্রশাসনের কাছে থাকা একটি গোপন ‘রেডবুক’ অনুযায়ী এই শ্রেণিবিন্যাস কার্যকর করা হয়।

রেড বুক প্রটোকল: ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি—কারা পান সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা? |ছবি : সংগৃহীত

অর্ডার অফ প্রিসিডেন্স অনুযায়ী কারা পান ভিভিআইপি মর্যাদা?

রাষ্ট্রীয় সম্মান ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তরের মর্যাদা হলো ভিভিআইপি (VVIP - Very Very Important Person)। বাংলাদেশের প্রটোকল বা ‘অর্ডার অফ প্রিসিডেন্স’ (Order of Precedence) অনুযায়ী, এই ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’র মর্যাদা শুধুমাত্র রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদাধিকারীদের জন্য সংরক্ষিত। এর মাধ্যমে তাদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা এবং সর্বোচ্চ প্রটোকল নিশ্চিত করা হয়।

প্রটোকল অনুযায়ী ভিভিআইপি হিসেবে গণ্য হবেন যারা:

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী, ভিভিআইপি ক্যাটেগরিতে নির্দিষ্টভাবে নিম্নলিখিত পদাধিকারীরা অন্তর্ভুক্ত:

১. রাষ্ট্রপতি (President): দেশের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি এই প্রটোকলের সর্বোচ্চ স্থানে থাকেন।

২. প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা: তিনি হলেন সরকারের নির্বাহী প্রধান। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী অথবা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এই মর্যাদা ভোগ করেন।

আরও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক ও বিশেষ ক্ষেত্রে ভিভিআইপি মর্যাদা

দেশিয় উচ্চপদাধিকারী ছাড়াও আরও কিছু ক্ষেত্রে ভিভিআইপি মর্যাদা প্রযোজ্য হয়:

বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান: অন্য দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানগণ যখন বাংলাদেশ সফর করেন, তখন তারাও ভিভিআইপি প্রটোকল পেয়ে থাকেন।

বিশেষ প্রজ্ঞাপনে মর্যাদা: তবে সরকার যদি বিশেষ পরিস্থিতিতে মনে করে যে কোনো ব্যক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রজ্ঞাপন জারির (Gazette Notification) মাধ্যমে তাদের ভিভিআইপি মর্যাদা প্রদান করার ক্ষমতা রাষ্ট্র সংরক্ষণ করে।

ভিভিআইপি, ভিআইপি ও সিআইপি: তিন ক্যাটাগরির ব্যক্তির সুবিধা ও ক্ষমতার পার্থক্য |ছবি : সংগৃহীত

কারা হন ভিআইপি?

রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী ভিআইপি মর্যাদা প্রাপ্তদের তালিকায় আছেন রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা:

  • জাতীয় সংসদের স্পিকার
  • মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ (মন্ত্রীবর্গ)
  • সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিবৃন্দ
  • জাতীয় সংসদের সদস্যবৃন্দ (সংসদ সদস্য বা এমপি)
  • সিনিয়র সচিব ও সচিববৃন্দ
  • তিন বাহিনী প্রধান (সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী)
  • পুলিশের প্রধান (আইজিপি)

এছাড়াও, সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী বিশেষ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তিকে ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে।

ভিআইপিদের সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সাধারণ ভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগ থেকে মূলত দুটি প্রধান ইউনিট কাজ করে:

১. পুলিশের প্রটেকশন টিম: ভিআইপিদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও চলাচলের সময় সুরক্ষা প্রদান করে।

২. পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (SB): গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নিরাপত্তা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করে।

৩. বিদেশি দূতাবাস: বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিযুক্ত রয়েছে চ্যান্সারি পুলিশ।

ভিভিআইপি কারা, ভিআইপি-এর সুবিধা কী? |ছবি : সংগৃহীত

ভিভিআইপিদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা বলয়

রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই পদাধিকারী অর্থাৎ ভিভিআইপিদের জন্য সাধারণ পুলিশি সুরক্ষার বাইরে বিশেষায়িত বাহিনী কাজ করে:

রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির জন্য রয়েছে সুপ্রশিক্ষিত প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (PGR)।

প্রধানমন্ত্রী/প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা: প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তার জন্য রয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF)।

এই বিশেষায়িত বাহিনীর পাশাপাশি, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার টিমও নিরাপত্তা কার্যক্রমে যুক্ত থাকে। এছাড়াও, পুলিশের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নও (SPBn) এই সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থেকে ভিভিআইপিদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সুরক্ষা নিশ্চিত করে।

সড়কে অগ্রাধিকার: ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের মুভমেন্ট প্রটোকল কী বলে? |ছবি : সংগৃহীত

সড়কে ভিআইপিদের বিশেষ সুবিধা নেই, কঠোর বিধি মেনে চলেন ভিভিআইপিরা

বাংলাদেশে ভিআইপি (VIP) এবং ভিভিআইপি (VVIP) ব্যক্তিদের চলাচলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক প্রটোকল নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধারণা থাকলেও, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী ভিআইপিদের জন্য সড়কে কোনো বিশেষ অগ্রাধিকার নেই। এই প্রটোকলের উদ্দেশ্য হলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তবে সাধারণ জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা নয়।

ভিআইপিদের জন্য সড়ক বন্ধ করা নিষিদ্ধ

বিধি অনুযায়ী, ভিআইপি মর্যাদা প্রাপ্ত যেকোনো ব্যক্তির জন্য শুধুমাত্র নিরাপত্তা প্রটোকল থাকবে। কিন্তু তাঁদের চলাচলের জন্য বাংলাদেশের কোনো সড়কেই বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকার কথা নয়। কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে নিম্নলিখিত বিধি:

অগ্রাধিকার নেই: ভিআইপিরা সড়কে অন্য কোনো যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত করতে পারবেন না এবং তাঁরা কোনো অগ্রাধিকারও পাবেন না।

বিপরীতমুখী চলাচল নিষিদ্ধ: ভিআইপিদের জন্য উলটো পথে চলা বা অন্য গাড়ি সরিয়ে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই।

ভিভিআইপিদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা

ভিআইপিদের ক্ষেত্রে কঠোরতা থাকলেও, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুই পদাধিকারী—অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা—এর ক্ষেত্রে সড়কে সীমিত বিশেষ ব্যবস্থাপনার বিধান রাখা হয়েছে। এরা ভিভিআইপি হিসেবে বিবেচিত।

  • একপাশ খালি করার বিধান: ভিভিআইপিদের চলাচলের সময় সড়কের একপাশ খালি করে যাতায়াতের বিধান আছে। তাঁদের নির্দিষ্ট যাতায়াতের সড়কটির একপাশ ফাঁকা করে দেওয়া হয় এবং সেই নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে সাধারণ যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়।

মুভমেন্টে ট্রাফিক সমন্বয়

ভিভিআইপিদের এই বিশেষ সুবিধা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সমন্বয় করা হয়।

  • ট্রাফিক বিভাগ ভিভিআইপিদের মুভমেন্টের প্রায় ১৫ মিনিট আগে এই সম্পর্কিত তথ্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)-কে জানায়।
  • অন্যদিকে, এসএসএফও মুভমেন্টের পরিকল্পনা সম্পর্কে ট্রাফিক বিভাগকে আগে থেকেই অবহিত করে। এই সমন্বয়ের মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বজায় রেখে জনসাধারণের ন্যূনতম অসুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |ছবি: এখন টিভি

ভিভিআইপি নিরাপত্তা: এসএসএফ আইন ২০২১ অনুযায়ী গুলি ও বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিকদের (VIP) এবং রাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের (VVIP) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ও বহুমুখী নিরাপত্তা কাঠামো কাজ করে। এই কাঠামোর শীর্ষস্থানে রয়েছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF), যা ভিভিআইপিদের সুরক্ষায় ব্যাপক ক্ষমতা রাখে।

ভিআইপিদের নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা

সাধারণত ভিআইপিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান বা বডিগার্ড পেয়ে থাকেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মূলত থ্রেট অ্যাসেসমেন্ট (Threat Assessment) বা ঝুঁকি বিবেচনা করে এই নিরাপত্তা প্রদান করে। তবে অনুমোদন পেলে কোনো ব্যক্তি নিজস্ব খরচে গানম্যান বা বডিগার্ডের বিকল্প উপায়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারেন। এক্ষেত্রেও যথাযথ অনুমোদন ও ঝুঁকি মূল্যায়ন বাধ্যতামূলক। একই বিবেচনায় আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সও দেওয়া হয়।

ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের চলাচলের সময়ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর একটি অংশ নিয়োজিত থাকে। তাঁরা ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে গেলে বিধি অনুযায়ী নিরাপত্তা টিম সঙ্গে থাকে।

আরও পড়ুন:

ভিভিআইপি সুরক্ষায় এসএসএফের বিশেষ ক্ষমতা

এসএসএফ আইন, ২০২১ অনুযায়ী, দেশের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এই ভিভিআইপিরা হলেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে এই আইনের আওতায় এসএসএফ-কে আরও ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তায় এসএসএফ

আইনের ৮(২) ধারা মোতাবেক, এসএসএফ শুধুমাত্র রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতৃত্ব নয়, বরং ‘বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করিবে।’ অর্থাৎ, সরকার কর্তৃক অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (VVIP) ঘোষিত হলে তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফ নিয়োজিত হবে।

এসএসএফ-এর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে:

  • ঐসব ব্যক্তির নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আদান-প্রদান করা।
  • দৈহিক নিরাপত্তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার ও প্রয়োজনে গুলি

এসএসএফকে তাদের দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব দেয়া হয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিরাপত্তার জন্য কাউকে ক্ষতিকর মনে হলে এসএসএফ তাকে বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় গ্রেপ্তারও (Arrest without Warrant) করতে পারে। দেশের সকল প্রান্তে তাদের এই ক্ষমতা প্রযোজ্য।

সবচেয়ে কঠোর বিধানটি হলো—পরিস্থিতি বিবেচনায় কোনো ব্যক্তিকে গুলি করা বা হত্যা করারও ক্ষমতা রাখে এসএসএফ। এই চরম ক্ষমতা আইনগতভাবে এসএসএফকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রদান করা হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |এখন টিভি

ভিআইপি নিরাপত্তায় নিয়োজিত ২ হাজারেরও বেশি পুলিশ: মুভমেন্টে প্রতিদিন লাগে ৯০ জন ফোর্স

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিভিআইপি) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের একটি বৃহৎ অংশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে নিয়োজিত থাকতে হয়, যা ঢাকাসহ দেশের বাইরেও সক্রিয় থাকে।

পুলিশ সদরদপ্তর (Police Headquarters) সূত্রে জানা গেছে, ভিভিআইপি ও ভিআইপিদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দুই হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য বিশেষভাবে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া, প্রায় ২২ হাজার পুলিশ সদস্য রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা (কেপিআই) এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থাপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে পুলিশের একটি বিশেষায়িত ইউনিট সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন ও কাজ করছে। এই ইউনিটে বর্তমানে ১,৪০০-র মতো সদস্য নিয়োজিত আছেন।

ভিআইপিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে একটি নতুন বিশেষ ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৭ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজে ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশে ‘গার্ড অ্যান্ড প্রটেকশন পুলিশ’ নামে বিশেষ ইউনিট করার প্রস্তাব করেন।

এসআর