শুক্রবার তুরস্ক উপকূলে রাশিয়ার দুটি জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার 'কায়রোস' ও 'বিরাটে' ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন। ঘটনাটির এক দিন পরে এর দায় স্বীকার করে ভিডিও প্রকাশ করে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থা। এর জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল রপ্তানি হঠাৎ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় ক্যাস্পিয়ান পাইপলাইন কনসোর্টিয়াম। রাশিয়া, কাজাখ ও যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারহোল্ডারদের সমন্বয়ে গঠিত জোটটি জানায়, ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় কৃষ্ণসাগরে রুশ টার্মিনালের একটি মুরিং বা নোঙর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
এছাড়া, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলা ও এর আশেপাশের আকাশসীমা এড়িয়ে চলতে এয়ারলাইন্স, পাইলট, মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কারাকাসের বিমানবন্দরগুলোতে। তবে ঘোষণাটি শুধু ভেনেজুয়েলা নয়, বিশ্ব তেল বাজারকেও নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে। কেননা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি তেলের অন্যতম উৎপাদনকারক।
ইতোমধ্যে এ দুটি ঘটনার ছাপ পড়তে শুরু করেছে বৈশ্বিক তেলের বাজারেও। । সোমবার থেকে বিশ্ববাজারে বেড়েছে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম। অপরিশোধিত তেলের অন্যতম মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ দশমিক ৬২ শতাংশ বাড়ায় ব্যরেলপ্রতি নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ৬৩ দশমিক ৩৯ ডলারে। পাশাপাশি আরেক মানদণ্ড ডব্লিউটিআইয়ের দাম ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৫৯ দশমিক পাঁচ পাঁচ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, তেলের দাম বাড়ানোর জন্য আরেকটি যুক্তি উপস্থাপন করেছে জ্বালানি তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানিগুলো বাজারে অংশীদারিত্ব ধরে রাখতে পারছে না। একারণে ২০২৬ সালের প্রথম তিন মাসে ২০২৬ সালের প্রথম তিন মাসে সব ধরনের কার্যক্রম স্থগিতের বিষয়ে একটি চুক্তি করে জোটভুক্ত দেশগুলো। নতুন করে এটি বহালের সিদ্ধান্তে সবাই ঐক্যমত্যে পৌঁছায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে অধিকাংশ পশ্চিমা রাষ্ট্র। এর আওতায় রয়েছে রাশিয়া তেল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও। রয়টার্স জানায়, ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞার ফলে অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত আয় কমে ১.৩১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় প্রায় ১ বিলিয়ন কম।




