থ্যাংকসগিভিংয়ের আগে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা কর্মকর্তাদের ওপর বন্দুক হামলার জেরে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে মার্কিন অভিবাসন নীতি। তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়ার একদিন পরই, সব দেশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয়-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে, গেল বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে। আরও উল্লেখ করেন বাইডেনের আমলে যে লাখ লাখ শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল তাও বাতিল করবেন তিনি।
যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোস্ট থেকে স্পষ্ট হয়নি, তৃতীয় বিশ্বের কোন কোন দেশকে এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। শুক্রবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া পোস্টে বার্তায় মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা দপ্তর, ইউএসসিআইএস-এর পরিচালক জোসেফ এডলো জানিয়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া প্রতিটি বিদেশি নাগরিককে সর্বোচ্চ যাচাই-বাছাই করা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এসব অভিবাসন আবেদনের নিষ্পত্তি হবে না।
সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা দপ্তরকে সব আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন অনুমোদন বা বাতিল করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আবেদন পর্যালোচনা করার সুযোগ থাকলেও এ বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না অভিবাসন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন:
একই দিনে আফগান পাসপোর্টধারীদের সব ধরণের ভিসা প্রদান তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিনপররাষ্ট্র দপ্তর। সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতি ও জননিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে বন্দুক হামলার ঘটনায় আটক ব্যক্তি আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। এই তথ্য প্রকাশের পর মার্কিন অভিবাসন নীতিতে একের পর এক পরিবর্তনের ঘোষণা আসছে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই ঘোষণার জেরে মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা দপ্তর জানায়, বিশ্বের ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের গ্রিনকার্ড পুনরায় যাচাই করবে ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু ঐ ১৯টি দেশের তালিকা এখনও প্রকাশিত হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে, গেল জুনে যে ১২টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়, তারা থাকতে পারে এই তালিকায়। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সুরক্ষার জন্য গেল জুনে আফগানিস্তান, মিয়ানমার, কঙ্গো, গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল হোয়াইট হাউজ।





