খ্রিস্টীয় নববর্ষ উদযাপনে বিশ্ববাসীর নজর থাকে নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে। ১৯০৭ সাল থেকে বর্ষবরণ উদযাপনের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর।
২০২৫ সালকে বিদায় ও ২০২৬ সালের বরণ করে নিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে শহর কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে জনসাধারণের সামনে আনা হয়েছে নতুন সংস্করণের ঐতিহাসিক কনস্টেলেশন বা নিউ ইয়ার ইভ বল।
অত্যাধুনিক এ বলটি তৈরিতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ৯ বছর। এটির ওজন সাড়ে ৫ হাজার কেজি। এতে আছে ৫ হাজার ২৮০টি বৃত্তাকার ক্রিস্টাল লাইট। রঙ-বেরঙের আলোর ঝলকানি দেখলে মনে হবে যেন একসঙ্গে জড়ো হয়েছে হাজারো রঙিন তারা।
প্রদর্শনীর আয়োজক ওয়ান টাইমস স্কয়ার ও জেমস টাউনের সভাপতি জানান, আতশবাজির নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হিসেবে এ পথ বেছে নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ওয়ান টাইমস স্কয়ার ভবনের মালিক মাইকেল ফিলিপস বলেন, ‘শহরে আতশবাজির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নতুন একটি পন্থা আবিষ্কারের চিন্তাভাবনা আসে। অত্যাধুনিক এ বলের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠবে গোটা নিউ ইয়র্ক শহর। প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত এ বল দর্শনার্থীদের বাড়তি নজর কাড়বে’।
অত্যাধুনিক এই বলটিকে দীর্ঘ দিনের ভালোবাসার শ্রম হিসেবে বর্ণনা করেছেন টাইমস স্কয়ার অ্যালায়েন্সের সভাপতি। যা আগের বলগুলো থেকে একেবারেই ভিন্ন।
টাইমস স্কয়ার অ্যালায়েন্সের প্রেসিডেন্ট টম হ্যারিস বলেন, ‘দীর্ঘ ৯ বছরের পরিশ্রমের পর তৈরি হয়েছে স্বপ্নের এ নতুন বল। জেমসটাউনের ভালোবাসার শ্রম এটি। ৩১ ডিসেম্বর বিশ্ববাসীর সামনে নিউইয়র্কের প্রতিনিধিত্ব করবে এ বল। জেমসটাউন ভবনের চূড়া থেকে নেমে আসবে বলটি।’
শুধু আলো নয় অডিও ব্যবস্থা এবং রিয়েল টাইম ভিজ্যুয়াল প্যাটার্ন তৈরি করে এই বল। যা নববর্ষ উদযাপনকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। প্রতি বছর ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ওয়ান টাইমস স্কোয়ার ভবনের চূড়া থেকে নামানো হয় নিউ ইয়ার ইভ বল।





