রেহা কবির সিগমা বলেন, ‘হাওরের মানুষ আমাকে যে ভালোবাসা দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন তাতে আমি অভিভূত। ছোটবেলা থেকেই এখানকার মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আমার বাবা ও চাচার দেখানো পথ অনুসরণ করে আমি এই এলাকার জন্য কাজ করতে চাই। আমি চাই এলাকার মানুষ সুন্দর, শান্তিপূর্ণ সমাজে বসবাস করুক। পারিবারিক মূল্যবোধ ছাড়া ভালো সমাজ গড়া সম্ভব নয়। অষ্টগ্রামের মেয়ে হিসেবে এখন সময় এসেছে অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষের জন্য কাজ করার। আমি বিশ্বাস করি— কথার ফুলঝুরি কমিয়ে কাজের পরিমাণ বাড়ালেই এলাকার উন্নতি সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘হাওরের মানুষের ভোট নিয়ে অতীতে যারা সংসদে গেছেন, তারা এখানকার ভাগ্যবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করেননি। নির্বাচিত হলে আমি অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইনের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করব। মানুষের উন্নয়ন এবং হাওরের সার্বিক কল্যাণই হবে আমার মূল লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন:
’এসময় অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষ বাজিতপুর পাটুলি ঘাটে ফুলের মালা দিয়ে তাকে বরণ করেন। তার প্রথম দিনের কর্মসূচিতে হাওরের ভাতসালা ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় পথসভায় অংশ নেন তিনি। এরপর তিনি অষ্টগ্রামের শাহ কুতুব মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে মাজার জিয়ারত করেন।
পথজুড়ে হাওরের সাধারণ মানুষ সড়কের দু’ধারে দাঁড়িয়ে তাকে অভিবাদন জানান, ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নেয়া হয় তাকে। এসময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তার সঙ্গে ছিলেন।
উল্লেখ্য, অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন—এই তিনটি উপজেলার ২৪টি ইউনিয়নের মোট ১৫০টি ভোটকেন্দ্রে ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৬৪ জন ভোটার রয়েছেন।





