মতবিনিময়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিভক্তির কারণে কয়েক দফায় বিভিন্ন গণমাধ্যম নিজেরাই ফ্যাসিবাদকে রক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমের প্রকৃত সংস্কার নির্ভর করে রাষ্ট্রকাঠামোর অবস্থার ওপর। হৃদয়ে সংস্কারের মানসিকতা না থাকলে কোনো সংস্কারই ফলপ্রসূ হবে না।’
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের আমলে অনেক গণমাধ্যম রাজনৈতিক দলের ভেতরে গিয়ে অবস্থান নিয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত গণমাধ্যম কর্মীদের দলে নিতে চায় না, তবে অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেই রাজনৈতিক কর্মী হয়ে যান। বিএনপি ভবিষ্যতে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দাবি-দাওয়া বিবেচনায় নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা গ্রহণ করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন:
মতবিনিময়ে জামায়াত ইসলামী, বাংলাদেশের পক্ষে সংবাদ উপস্থাপনের আহ্বান জানায়। আর গণমাধ্যম কার্যালয়ের ভেতরে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের ওপর জোর দেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সংস্কারের অন্যতম অগ্রাধিকার ছিল গণমাধ্যম খাত। প্রায় চার মাসের আলোচনা শেষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রকাশিত হয়। এসব সুপারিশ বিষয়ে সম্প্রচার সাংবাদিকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরতে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) ধারাবাহিক মতবিনিময় পরিচালনা করছে।
এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে চতুর্থ দফার আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। আলোচনায় বিগত সময়ে গণমাধ্যমের পক্ষপাতমূলক অবস্থানের সমালোচনাও উঠে আসে।





