সরকারিভাবে সেন্টমার্টিন ভ্রমণ (Saint Martin's Tour) ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত (Open for Tourists) ঘোষণা করা হয়। তবে, রাতে থাকার ব্যবস্থা (Overnight Stay Facility) না থাকা এবং জাহাজ চলাচল বন্ধ (Ship Service Closed) থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো পর্যটকই প্রবাল দ্বীপটি ভ্রমণে যেতে পারেননি। আগামী আট দিনেও এই ভ্রমণ স্থগিত (Travel Postponement) থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
জাহাজ চলাচল সময়সূচি ও রুট (Saint Martin's Ship Schedule & Route)
কক্সবাজার শহর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের দূরত্ব (Saint Martin's Distance) প্রায় ১২০ কিলোমিটার (120 km)। এই রুটে জাহাজ ভ্রমণের সময় (Ship Travel Time) সাধারণত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা লেগে থাকে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটক বহনের জন্য যে সাতটি পর্যটকবাহী জাহাজ (Tourist Vessels) সরকারিভাবে অনুমোদিত হয়েছে, সেগুলোর তালিকা নিম্নরূপ:
সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজের তালিকা (List of tourist ships on the St. Martin route)
- এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (MV Karnaphuli Express)।
- এমভি বারো আউলিয়া (MV Baro Aulia)।
- এমভি বে ক্রুজ (MV Bay Cruise)।
- এমভি কাজল (MV Kajol)।
- কেয়ারী সিন্দাবাদ (Keari Sindbad)।
- কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন (Keari Cruise and Dine)।
- আটলান্টিক ক্রুজ (Atlantic Cruise)।
পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে কঠোর নতুন নিয়মাবলী জারি করেছে সরকার। এখন থেকে দ্বীপে প্রবেশের জন্য পর্যটকদের অনলাইন টিকিট (Online Ticket) এবং কিউআর কোড (QR Code) বহন করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি, সকল নৌযান চলাচল (Vessel Movement) কর্তৃপক্ষদ্বারা কড়া নজরদারিতে থাকবে।
আরও পড়ুন :
পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের (Web Portal) মাধ্যমে তাদের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। ম্যানুয়াল বা অফলাইন টিকিট এই ক্ষেত্রে গ্রহণ করা হবে না। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন:
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা এই বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, ‘পর্যটক পারাপারের সময় জাহাজগুলোকে কঠোর নজরদারিতে (Strict Monitoring) রাখা হবে। কোনো অবস্থাতেই দুই হাজারের বেশি পর্যটক (Daily Tourist Limit) সেন্টমার্টিনে যেতে দেয়া হবে না।’
সেন্টমার্টিন দ্বীপ নিয়ে কিছু সাধারণ প্রশ্ন ও তার উত্তর - FAQ
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোথায় অবস্থিত?
উত্তর: সেন্টমার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণে মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনের আকৃতি কেমন?
উত্তর: সেন্টমার্টিন দ্বীপটি আকারে ছোট, প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩ কিলোমিটার প্রশস্ত।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাওয়া কিভাবে সম্ভব?
উত্তর: ঢাকার সেন্টমার্টিনে যেতে হলে জলপথে কোনোটির মাধ্যমে বা নৌকায় করে যেতে হয়, যেখানে চরভূতা থেকে মাছ ধরার নৌকা অথবা ট্রলার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য সেরা সময় কখন?
উত্তর: অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়টি সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে উত্তম।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কি কি পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে?
উত্তর: সৈকত, জলরঙের পানির সৌন্দর্য, স্নোকার, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং লেকের মত জলপ্রপাত।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে থাকার জন্য কোন কোন জায়গা রয়েছে?
উত্তর: বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ ও কটেজ রয়েছে, যেখানে পর্যটকরা থাকত পারেন।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কি কি খাওয়া যায়?
উত্তর: সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, ঝিনুক, সমুদ্রের নানা রকম মাছের রান্না ও স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কি কি করণীয়?
উত্তর: সৈকত উপভোগ, স্নোকার, সাইকেল চালানো, ডিঙি বাইচ, মাছ ধরা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কি কি সমস্যা হয়?
উত্তর: পরিবেশ দূষণ, প্লাস্টিক বর্জ্য, আবাসন সমস্যা ও পর্যটকদের অতিরিক্ত চাপ।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কোন ধরনের পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম হয়?
উত্তর: স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশবাদীরা সমুদ্র ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালায়।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনের জলদস্যুতা কি বর্তমানে কমে গেছে?
উত্তর: হ্যাঁ, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের কারণে জলদস্যুতা অনেক কমে গেছে।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কি কি ধরনের জলজ প্রাণি দেখা যায়?
উত্তর: সামুদ্রিক কচ্ছপ, ডলফিন, মাছের বিভিন্ন প্রজাতি, শামুক ও ঝিনুক।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে কেনাকাটা কি সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, স্থানীয় বাজারে মাছ, সামুদ্রিক উপকরণ ও কিছু হস্তশিল্প কেনা যায়।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে খাবার কি মূল্যবান?
উত্তর: হ্যাঁ, সামুদ্রিক খাবার সাধারণত অন্যান্য জায়গার তুলনায় একটু বেশি দামি হতে পারে।
প্রশ্ন: সেন্টমার্টিনে প্রবেশের জন্য কি কোন নিয়ম মানতে হয়?
উত্তর: পর্যটকদের অবশ্যই অনুমতিপত্র, পরিবেশ সংরক্ষণে সচেতনতা ও স্থানীয় নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়।





