সৌদি হস্তশিল্প মেলায় প্রথম অংশগ্রহণেই নজর কেড়েছে সিরিয়ান কারুশিল্প

সৌদিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলা বা বানান প্রদর্শনী
সৌদিতে আয়োজিত আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলা বা বানান প্রদর্শনী | ছবি: এখন টিভি
0

সৌদি আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলা বা বানান প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই নজর কেড়েছে সিরিয়ান কারুশিল্প। বিশ্বের সামনে নিজেদের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ পেয়ে খুশি কারিগররা। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষে ঐতিহ্যবাহী মেলার পরিধি এবার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ সৌদি আরব।

কাঠ, ধাতু ও কাপড়ে বাহারি নকশা আর কারুকাজ নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। দৃশ্যটি সৌদি আরবের রিয়াদে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প প্রদর্শনীর। ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটি ‘বানান’ নামেও পরিচিত।

সৌদির হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে প্রথমবারের মতো নিজেদের সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্মের মাধ্যমে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছে সিরিয়াও। এছাড়াও ২৩টি দেশের হস্তশিল্পীরা নিজেদের কারুকাজ নিয়ে হাজির হয়েছেন। তবে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে সিরিয়ার অংশগ্রহণ। কারণ এটিকে বহু বছরের কূটনৈতিক বৈরিতা থেকে সরে আসার পর রিয়াদ-দামেস্ক সম্পর্ক ধীরে ধীরে উষ্ণ হওয়ার বার্তা হিসেবেও দেখা হচ্ছে।

সিরিয় প্রতিনিধির একজন বলেন, ‘আশা করি ভবিষ্যতেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আন্তর্জাতিক ইভেন্টটিতে সিরিয়ার অংশগ্রহণের সুযোগ আমাদের জন্য একটি বিশেষ অনুভূতির। আশা করি আমরা আমাদের দেশের প্রাপ্য সাফল্য অর্জন করতে পারবো।’

সৌদির এ প্রদর্শনীর মঞ্চে অংশগ্রহণের সুযোগ পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার বড় মাধ্যম হিসেবে দেখছেন সিরিয় প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন:

সিরিয় প্রতিনিধিদের আরেকজন বলেন, ‘সিরিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীতে প্রথমবার অংশ নিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এটি আমাদের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে আমাদের সংস্কৃতি, শিল্প, ঐতিহ্য এবং সভ্যতা সম্পর্কে আরও জানাতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হাজার বছরের প্রাচীন নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’

ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিশ্বের সঙ্গে শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংযোগ জোরদার করতে মেলার পরিধি বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ সৌদি আরব।

সৌদি আরব হস্তশিল্প খাতের পরিচালক ডালিয়া আল-ইয়াহিয়া বলেন, ‘সিরিয়া প্রথমবারের মতো আমাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে। তাদের উপস্থিতিতে আমরা আনন্দিত। তারা কাঠ এবং ধাতব শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের কারুশিল্প নিয়ে এসেছেন। এর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সংযোগ বাড়াতে চাই। এর মাধ্যমে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক কারিগররা একে অপরের অভিজ্ঞতা, আধুনিক কৌশল এবং নকশা থেকে উপকৃত হওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারবেন। যা শিল্প, সংস্কৃতি ও প্রাচীন ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করবে।’

সৌদি সরকারের তথ্য বলছে- দেশটিতে প্রায় ৪০৫ মিলিয়ন ডলার মূল্যের হস্তশিল্পের বাজার রয়েছে। যার মধ্যে স্থানীয় পণ্য মাত্র ২০ শতাংশ। ১৩ নভেম্বর শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক হস্তশিল্প মেলা বা বানান চলমান থাকবে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত।

এফএস