এ কান্না আনন্দের কান্না। কটাক্ষ, সামাজিক মাধ্যমে হেনস্থা, আয়োজক দেশের পরিচালকের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা- কিছুই দমাতে পারেনি ২৫ বছর বয়সী মেক্সিকান প্রতিযোগী ফাতিমা বশকে। মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম খেতাব জিতে নিয়েছেন নিজের বুদ্ধিমত্তা আর স্মার্টনেসের জোরেই।
থাইল্যান্ডে মিস ইউনিভার্সের মূল পর্ব শুরুর আগে একটি ফটোশ্যুটের আয়োজন করে ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সময়মত তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করতে পারেননি মেক্সিকান ইউনিভার্স ফাতিমা বশ। এই ভুলের কারণে সবার সামনে ফাতিমাকে ডাম্বহেড বা মোটামাথা বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ মিস ইউনিভার্স থাইল্যান্ডের পরিচালক।
সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করেন মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো। একপর্যায়ে অনুষ্ঠানের সঞ্চালক নিরাপত্তা বাহিনীকে ডেকে তাকে শাসানোর চেষ্টা করলে ফাতিমার পাশে দাঁড়ায় অন্যান্য প্রতিযোগীরা। এক সঙ্গে বের যান হল থেকে। মিস ইউনিভার্সের সেই ইভেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছিল ফেসবুকে।
আরও পড়ুন:
সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তোলা এই ঘটনাই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় ফাতিমার জন্য। একুশ শতকে এসে একজন নারী কখনোই কারোর হাতের পুতুল হয়ে থাকতে পারে না- ফাতিমার এই সাক্ষাৎকার রীতিমতো তাকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছেন সঞ্চালক, অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ঐ পরিচালককেও।
শুক্রবার ব্যাংককে মিস ইউনিভার্স ২০২৫ এর আসরে সেরা ৩০, সেরা ১২ পার হয়ে ফাইনাল ৫ এ উঠে আসেন ফাতিমা বশ। পাঁচটি দেশের প্রতিনিধিকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসেন এই মেক্সিকান তরুণী। সব আসরেই ফাইনাল রাউন্ডে বিচারকেরা প্রতিযোগীকে দুটি করে প্রশ্ন করেন। সে প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করা হয় মিস ইউনিভার্সকে। ফাইনালে চমক দেখিয়ে ফাতিমা প্রমাণও করলেন মিস ইউনিভার্স হওয়ার জন্য তিনি যথেষ্ট স্মার্ট।
ফাতিমা বশকে মিস ইউনিভার্সের মুকুট পরিয়ে দেন গেল আসরের বিজয়ী ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া। আর, এবারের আসরে রানারস আপ হয়েছেন মিস থাইল্যান্ড।





