র্যাব-৯, সিপিসি-৩, সুনামগঞ্জের একটি বিশেষ দল মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন শ্রীবর্দীপুর ঘোষপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। অভিযানে র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধার সদস্যরাও সহযোগিতা করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. রফিকুল ইসলাম সোহেল (৩৯), তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৪), মোছা. শাহানা পারভীন (৪৩), মো. মশিউর রহমান ওরফে মাসুক (৩০), মো. শফিউর রহমান (২৬) এবং তার স্ত্রী রিনা আক্তার (২০)। এরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
র্যাব জানায়, প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস আগে এই সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রতারণার উদ্দেশে সপরিবারে সুনামগঞ্জে এসে ভাড়া বাসা নেয় এবং ‘মেসার্স আব্দুল্লাহ বানিজ্যালয়’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালু করে। শুরুতে বাজারদরের চেয়ে কম দামে পেঁয়াজ, রসুন ও আলু বিক্রি করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করে তারা। পরে বড় চালানের অর্ডার দেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় চক্রটি। টাকা পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা দোকান বন্ধ করে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
এ ঘটনায় এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি সুনামগঞ্জসহ সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করে।
পরে র্যাব-৯, সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জের একটি দল গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত শুরু করে এবং অভিযানের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের ছয় সদস্যকে গাইবান্ধা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাব-৯ এর কোম্পানি কমান্ডার, সিপিসি-৩ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার কপিল দেব গাইন বলেন, ‘এই চক্রটি পূর্বেও দেশের বিভিন্ন জেলায় একই কায়দায় ব্যবসায়ীদের প্রতারণা করেছে এবং বর্তমানে গাইবান্ধা জেলাকে টার্গেট করে নতুন ফাঁদ তৈরি করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুনামগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
