ভেতরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত সম্মেলন কপ থার্টির দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম যখন চলছে। তখন এর প্রবেশপথে চলছিল স্থানীয় আদিবাসীদের বিক্ষোভ। এসময় হাতে ছিল বিভিন্ন স্লোগানের প্ল্যাকার্ড। যেখানে লেখা ‘আমাদের জমি বিক্রির জন্য নয়, বনে চলমান শিল্পায়ন বন্ধ হোক’—সহ নানা দাবি।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা অর্থ চাই না, নিরাপদ আশ্রয় চাই। বন কাটা এবং তেল ও খনি উত্তোলন এখনও অব্যাহত আছে।’
অন্য একজন বলেন, ‘এটা আমাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এমন সময় বিক্ষোভে নেমেছি যখন আমাদের ভূ-খণ্ড জোরপূর্বক দখলের সাক্ষী।’
বিক্ষোভের একপর্যায়ে সম্মেলনের মূল ভেন্যুতে ঢুকার চেষ্টা করে আদিবাসীরা। বাধা দিলে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশি তৎপরতায় পিছু হটে আন্দোলনকারীরা। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা।
সম্মেলন দ্বিতীয় দিনে পরিবেশকর্মীদের বিক্ষোভ হয় অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে। এতে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীরা পোস্টারের মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোকে কার্বন নিঃসরণ কমানোর দাবি জানান।
আরও পড়ুন:
আদিবাসীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা বিশ্বনেতাদের কাছে বার্তা পাঠাতে চাই, নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে জুয়া খেলবেন না।’
অন্য একজন বলেন, ‘আমরা জানি আমাদের অঞ্চলকে বাঁচাতে পৃথিবীকে বাঁচাতে লড়াই, সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কপের ৩০ বছর হয়ে গেলেও এটি মানুষের কল্যাণে কাজ করছে না।
এদিকে কপ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ও ডেমোক্রেট দলের নেতা গ্যাভিসন নিউসম ট্রাম্পের কপ বিরোধী অবস্থানকে বোকামি বলে অভিহিত করেন। নিজের রাজ্যকে সবুজ করে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিসন নিউসম বলেন, ‘আমরা আমাদের ক্ষমতার সময় সবকিছুই করেছি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্প ও তার নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিশ্ববাসী একটা স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ট্রাম্পের স্থায়ী প্রভাব নেই।’
গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমন কমানো প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে এবারের কপ সম্মেলন। এতে বাংলাদেশসহ অন্তত ১৫০ টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছে। তবে ট্রাম্পের জলবায়ু বিরোধী অবস্থানের কারণে অংশ নেয়নি কোনো মার্কিন প্রতিনিধি।





