নয়াদিল্লিতে আবারও বোমা হামলা: অতীতেও লক্ষ্যবস্তু ছিলো হাইকোর্ট, পার্লামেন্ট ও লালকেল্লা

বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার হয়েছে নয়াদিল্লি
বিভিন্ন সময়ে হামলার শিকার হয়েছে নয়াদিল্লি | ছবি: সংগৃহীত
0

নয়াদিল্লিতে বোমা হামলার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার বড় বড় হামলার শিকার হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। বাদ যায়নি হাইকোর্ট ও পার্লামেন্ট ভবনও। এমনকি এ লালকেল্লা-ই এর আগেও হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। বেশিরভাগ হামলার পেছনেই হাত ছিল পাকিস্তানের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর। যদিও মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর একেবারেই কমে আসে ভারতে সন্ত্রাসী হামলা।

নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে শান্ত থাকা দিল্লি হঠাৎ কেন উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, তা নিয়েই এখন চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতা নেয়ার পর এই প্রথম নয়াদিল্লিতে এতো বড় নাশকতার ঘটনা ঘটলো। এর আগে, ২০১১ সালে দিল্লি হাইকোর্টের সামনে ব্রিফ কেসে থাকা বোমার বিস্ফোরণে নিহত হন ১৫ জন। যার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামিক।

এর আগে, ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লির জনাকীর্ন মার্কেটে ৫টি সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হন অন্তত ৩৩ জন। যার সবগুলোই ছিল অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের তৈরি। ভারতের সশস্ত্র গোষ্ঠী মুজাহিদিন গ্রুপ যার দায় স্বীকার করে। এর দুই সপ্তাহের মাথায় আরও দুটি বোমার বিস্ফোরণে প্রাণ যায় তিন বেসামরিক নাগরিকের।

২০০৫ সালে নয়াদিল্লির বিভিন্ন অংশে বোমা হামলা চালায় পাকিস্তানের সশস্ত্র গোষ্ঠী লস্কর-ই-তাইয়েবা। এবং সেসময় নিহত হন অন্তত ৭০ জন।

আরও পড়ুন:

২০০১ সালের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লির পার্লামেন্ট ভবনের সামনে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জইশ-ই মোহাম্মদের বোমা হামলা ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করায়। সেসময় পার্লামেন্টের কর্মকর্তাসহ নিহত হন অন্তত ১৩ জন। আর এর ঠিক এক বছর আগে লাল কেল্লায় লস্কর-ই-তায়েবার হামলায় নিহত হন ৩ জন।

নয়াদিল্লি ছাড়াও বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয়েছে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য রাজ্যও। যার মধ্যে মুম্বাইয়ের ঘটনা এখনও ঘুম কেঁড়ে নেয় ভারতবাসীর। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তায়েবার বোমা হামলায় নিহত হন ১৭০ এর বেশি মানুষ, আহত হন ৩ শতাধিক।

একইবছরে জুলাইয়ে নভেম্বরে আহমেদাবাদে দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সিরিজ বোমা হামলায় প্রাণ যায় ৫৬ জনের। রাজস্থানে টানা ৭টি বোমার হামলায় ৭০ জনের প্রাণ ঝরেছে।

২০০৬ সালে মুম্বাইয়ে ট্রেন স্টেশনে পাকিস্তানের লস্কর-ই-তায়েবার সিরিজ বোমা হামলায় কাঁপিয়ে দিয়েছে পুরো ভারতকে। ওই হামলায় প্রাণ গেছে ২ শতাধিক ভারতবাসীর। আর ১৯৯৩ সালে গুরত্বপূর্ণ এ শহরেই হামলা চালায় গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিম। তার হামলায় আড়াইশো প্রাণ ঝরেছে।

এসএইচ