নদীমাতৃক বাংলাদেশের পণ্যপরিবহনের অন্যতম ভরসা নৌপথ। তবে জলের বুকে জেগে ওঠা চর জেগে ব্যাহত হচ্ছে নৌচলাচল। যার কারণে দেশের নৌবন্দরগুলো অচল প্রায়।
নদীপথে উত্তরবঙ্গের অন্যতম প্রবেশদ্বার নগরবাড়ী এ নৌবন্দর। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজে আমদানির পর এখান থেকে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় কয়লা, সার, পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করেন ব্যবসায়ীরা। মৃতপ্রায় এ পথের ২০১৮ সালে পুনরুদ্ধারে ও নগর বাড়ি নৌবন্দর স্থাপনে উদ্যোগ নেয় সরকার। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পর চালু হলো এ নদীবন্দরটি। আজ সকালে আধুনিক টার্মিনাল কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন এম সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীর সঙ্গে সড়কপথে দূরত্ব কমবে প্রায় ৮০ কিলোমিটার। যমুনা সেতুর উপর কমবে চাপ। কম খরচে সহজে নদীপথে বিপুল পরিমাণ সার, কয়লা, সিমেন্ট, পাথরসহ অন্যান্য পণ্য আনা-নেয়া যাবে নগরবাড়ী নৌবন্দর দিয়ে। তবে নব্য ঠিক রাখা এ নদীবন্দরের প্রধান চ্যালেঞ্জ।
চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ‘আশুগঞ্জ, পানগাঁও, খানপুরে ট্রার্মিনাল কমপ্লেক্স নির্মাণ করছি। সবগুলো টার্মিনাল নির্মিত হলে ২০২৭ নাগাদ বাৎসরিক ক্যাপাসিটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন হবে।’
পণ্য খালাসে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হবে। এতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বাড়বে কয়েক গুণ। বর্তমানে প্রতিদিন মালপত্র খালাস করা যাচ্ছে দুই হাজার টন, বন্দরের কাজ শেষ হলে পণ্য খালাস করা যাবে অন্তত ২০ হাজার টন। বাড়বে রাজস্ব আয়ও বাড়বে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নগড়বাড়ীতে আমরা কোনো ইকুইপমেন্ট দেব না। যিনি লিজ নেবেন দুই পার্টে লিজ নেবেন। বন্দর পরিচালনা আর হলো গুদামজাতকরণ। সমস্ত ইকুইপমেন্ট তার হতে হবে। আমি চেষ্টা করছি কিছু কিছু জায়গাকে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করা।’
নদীবন্দর নির্মাণে ২০১৮ সালে প্রায় ৫৫৭ কোটি টাকায় যমুনাপাড়ে ৩৬ একর জায়গায় জুড়ে কাজ শুরু করে সরকার।





