এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশটির খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রেস সচিব বলেন, ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশে আওতায় গুমের দায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’
অধ্যাদেশের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘এ অধ্যাদেশে গুমকে সজ্ঞায়নের পাশাপাশি চলমান অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। গোপন আটককেন্দ্র স্থাপন— যেগুলো আয়নাঘর নামে পরিচিত, সেগুলো ব্যবহারকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুম সংক্রান্ত অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্তের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের লক্ষ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন, অভিযোগ গঠনের ১২০ দিনের মধ্যে বিচার সম্পন্নের বাধ্যবাধকতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
এটি বাংলাদেশের ‘ঐতিহাসিক ল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এ আইনের ফলে নতুন করে দেশের কোনো শাসক গুমের ঘটনা ঘটাতে পারবে না।’
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে গুমের তদন্তের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এই আইনের ফলে দেশে আর কোনো সরকার গুমের রাজত্ব চালাতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়া আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৬ সালের ছুটির তালিকা অনুমোদিত হয়েছে। আজকের বৈঠকে জাতীয় লজিস্টিক নীতিরও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।





