সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব

পলো বাওয়া উৎসব
পলো বাওয়া উৎসব | ছবি: এখন টিভি
0

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মাসাধিককাল ধরে চলছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব। উপজেলার ভাড়কীর বিল, নোয়াকাটি বিল, কাজিরহাট বিল ও কায়বা কোলনী বিলে এই পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নেন কয়েক হাজার মাছ শিকারি।

চন্দনপুর গ্রামের রিপন, আলমগীর হোসেন, সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন যুবক শীত মৌসুমজুড়ে এই উৎসবের আয়োজন করেন। এজন্য আগেই মাইকিং ও ঢ্যাড়াপিটিয়ে পলো বাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। মঙ্গলবারও (৪ নভেম্বর) ছিল এমন একটা দিন।

এলাকাবাসী জানান, কলারোয়া উপজেলার কয়েকটি বড় বড় বিল পানিতে ডুবে থাকে। এই সমস্ত বিলে আমন ধান না হওয়ায় মৎস্য শিকারিরা বিভিন্নভাবে মাছ ধরতে ব্যস্ত থাকে। তবে বিলের পানি নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট সময়ে পলো বাওয়া উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এজন্য আশপাশের গ্রাম থেকে শৌখিন মাছ শিকারিরা ভোর থেকে জড়ো হন বিলপাড়ে। পূর্ব থেকেই নির্ধারিত দিনে সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে পলো বাওয়া।

আরও পড়ুন:

স্থানীয় বাসিন্দা সাব্বির হোসেন জানান, আমার ধারণা মতে সাতক্ষীরা জেলার মধ্যে কলারোয়ায় এই ঐতিহ্যটা এখনো বিদ্যমান। ১-২ হাজার মানুষ এতে অংশগ্রহণ করে। এটা অনেক ভালো লাগার বিষয়।

মাছ শিকারি ও উৎসুক একাধিক জনতা জানান, যান্ত্রিক যুগে আমরা ভুলেই গিয়েছিলাম পলো দিয়ে মাছ ধরার গল্পকে। আজ এ উৎসবের মধ্য দিয়ে শৈশবকে ফিরে পেলাম।

আয়োজক কমিটির সদস্য রিপন হোসেন বলেন, ‘পলো বাওয়া’ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। অনেক পুরোনো এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে এবং চায়না জাল, কারেন্ট জালে মাছ শিকার বন্ধে সচেতনতা তৈরি করতেই ঘোষণা দিয়ে পলো বাওয়ার আয়োজন করা হয়।’

আরেক সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, আমরা আশানুরূপ মাছ পাচ্ছি, তবে উন্মুক্ত জলাশয়ে কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে অনেকে মাছ ধরার কারণে বিলে মাছের সংকট দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় এই আয়োজন কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।

সেজু