ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমান্ত দিয়ে চলে ভারতীয় মাদক ও পণ্য চোরাচালান। মৌসুম অনুযায়ী চোরাই পণ্য আসছে বাংলাদেশে। ভারতীয় মাদক, গরুর মাংস, স্মার্টফোনের ডিসপ্লে, ক্যান্সারের ওষুধ, চশমা, এমনকি ফুচকাও আছে নিয়মিত চোরাচালানের তালিকায়।
জেলার কসবা, আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা ভারত সীমান্তবর্তী এ তিন উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ও বিভিন্ন চোরাই পণ্য আনছে চোরাকারবারিরা। আর এসব চোরাই পণ্য বহনে ব্যবহার করা হচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন প্রকারের মাদক, বিভিন্ন ধরণের মোবাইলের ডিসপ্লে আসছে। মালিকরা টাকা দিয়ে যুবকদের দিয়ে চোরাচালান করিয়ে থাকে বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে বিজিবির অভিযানে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে মাদক ও চোরাই পণ্যের চালান। গেলো ১০ মাসে আখাউড়া, বিজয়নগর ও হবিগঞ্জের ধর্মগড় সীমান্ত থেকে ১০০ কোটি টাকারও বেশি মাদক ও চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়ন। ধরা পড়েছে ৪৮ জন চোরাকারবারি।
আরও পড়ুন:
বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, ‘যে সমস্ত স্থানীয় যুবকদের বাহন হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তারা খুব অল্প বয়সের হয়। আর তারা এলাকার সবকিছু চেনে। ফলে তারা যখন নিয়ে আসতে যায় আর আমাদের বিজিবির লোকজন যখন ধরতে যায়, তখন তারা হাতের আইটেমটি ফেলে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
আর জেলা প্রশাসক বলছেন, সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ কিছু যেন দেশে না ঢুকতে পারে, সেজন্য সীমান্তে আরও কঠোর নজরদারি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিজিবিকে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, ‘নির্বাচন সামনে আসছে এজন্য বিজিবিও সজাগ দৃষ্টি রাখছে। বর্ডারগুলোতে ধরাও পড়ছে। বিজিবি এখন আরও জোরদার হবে। একটি জিনিসও যেন বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে তারা সদা সতর্ক।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৭৩ কিলোমিটার সীমান্ত ভারতের সঙ্গে। এর মধ্যে ৩১ কিলোমিটারের সুরক্ষায় বিজিবির ২৫ এবং বাকি ৪৬ কিলোমিটার রয়েছে ৬০ ব্যাটালিয়নের দায়িত্বে।




