মার্কিন প্রশাসনের ব্যয় সংক্রান্ত বাজেট বিল নিয়ে ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের দ্বন্দ্ব পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। যার কারণে এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে সরকারি শাটডাউন। এতে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা প্রকট হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রে।
সরকারি তহবিল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বহু সরকারি সংস্থা কার্যত স্থবির হয়ে পড়ছে। তহবিল শেষ হওয়ার পর থেকে প্রায় সাত লাখ ৫০ হাজার ফেডারেল কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে ভ্রমণ, শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে। তবে সবচাইতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আয়ের মানুষ। চলতি সপ্তাহে মার্কিন কৃষি বিভাগ জানায়, তহবিলের অভাবে নভেম্বর মাসে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করতে পারবে না তারা। এসব কারণে বাড়ছে অসন্তোষ।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা সত্যিই বিশ্বাস করি যে এ সময়টায় মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করা নিয়ে সরকার অনেক বিতর্কে জড়িয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি উদ্বিগ্ন। উদ্বিগ্ন না হওয়ার কোনো কারণ নেই, তাই না?’
অন্য একজন বলেন, ‘খাদ্য একটি মৌলিক অধিকার। আপনি রাজনৈতিকভাবে নিজেকে যেভাবেই সারিবদ্ধ করুন না কেন, মানুষের খাবার নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন:
এদিকে সরকারকে তহবিল দেয়ার আগে ডেমোক্র্যাটরা চান রিপাবলিকানরা যেন বেসরকারি স্বাস্থ্য বীমায় সাহায্য করার জন্য ফেডারেল ট্যাক্স ক্রেডিট বাড়াতে আলোচনায় বসেন। কিন্তু রিপাবলিকানরা চান আলোচনা শুরুর আগেই তহবিল চালু করে শাটডাউন থেকে উত্তরণের। এর জন্য ডেমোক্র্যাটদের শাটডাউন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি জানেন, আমরা শাটডাউন থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ১৪ বার ভোট দিয়েছি। আর তারা এটি বন্ধ রাখার জন্য ভোট দিয়েছে। এখন তাদের শুধু দেশকে উন্মুক্ত করার জন্য ভোট দেয়া উচিত। এর জন্য আমাদের পক্ষে মাত্র পাঁচজন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতার প্রয়োজন।’
শাটডাউনে চলমান অচলাবস্থা চলমান থাকলে আগামী শনিবার থেকে প্রায় ৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন নাগরিক খাদ্য সহায়তা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী এবং অভিবাসন কর্মকর্তাদের বেতন দেয়ার জন্য পদক্ষেপও নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে অন্যান্য ফেডারেল কর্মচারীরা বেতন ছাড়াই কাজ করছেন।
দীর্ঘ দিনের এ শাটডাউন এড়ানো না গেলে মার্কিন অর্থনীতির ৭ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা করছে নির্দলীয় কংগ্রেসনাল বাজেট কার্যালয়। এতে সরকারি ব্যয়ের ঘাটতির কারণে চতুর্থ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদন কমতে পারে দুই শতাংশ।





