পাশাপাশি লাউ, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক, মূলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এছাড়া সদ্য রোপনকৃত আলু, সরিষা,পেঁয়াজ ও রসুনের বীজতলা নিয়ে কৃষকরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
কৃষকরা জানান, টানা বৃষ্টিতে বেশিরভাগ নিচু জমিতেই পানি জমেছে। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন তারা। এ ছাড়াও মাঠের আধা-পাকা ধান হেলে পড়েছে। কেটে ফেলা আমন ধান জমিতে পঁচে নষ্ট হচ্ছে। ফলে কাংখিত দাম নিয়ে শংকায় কৃষক। এছাড়া আগামী দিনে গো খাদ্যের সংকটের কথাও জানিয়েছে কৃষকরা।
শেরপুর সদরের কামারের চর ইউনিয়নের লতারিয়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম (৫০) বলেন, ‘ধার দেনা করে দুই একর জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছিলাম। গত কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে এখনো জমিতে হাঁটু সমান পানি। ইতিমধ্যে ধান ও গাছে পচন ধরতে শুরু করেছে।’ আগামী দিনে গো খাদ্যের সংকট পড়বে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সদরের লছনপুর ইউনিয়নের ছোট ঝাউয়ের চর গ্রামের কৃষক হোসেন আলী (৪৫) জানান, দুই বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ করেছি। টানা বৃষ্টিতে জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। ফলে টমেটো, বেগুন, সিম, লাউ, বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাল শাক, মূলা শাক গাছ হেলে পড়েছে। এছাড়া পানি দ্রুত সময়ের মধ্যে নেমে না গেলে এসব সবজি গাছে পচন ধরতে শুরু করবে।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান, কার্তিক মাসে সাধারণত হালকা বৃষ্টি হলেও নিন্মচাপের কারণে এ বছরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন আমরা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে তাদের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সহযোগিতা করা হবে।





