এর আগে, ২৮ অক্টোবর রাতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকা থেকে ঘাতক প্রেমিক সুজনকে গ্রেপ্তার করে শিবালয় থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার সুজন শিবালয় উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের সাঈদ শেখের ছেলে। তিনি অবিবাহিত এবং সম্প্রতি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন। তিন বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত স্মৃতি আক্তারের সঙ্গে একই গ্রামের সুজনের দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। ২০২২ সালে সুজন সৌদি আরবে চলে যান। তিন বছর পর চলতি মাসের ৩ তারিখ দেশে ফেরেন তিনি। দেশে ফিরে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নেন সুজন। এ খবর জানার পর প্রেমিক যুগলের মধ্যে তৈরি হয় টানাপোড়েন।
আরও পড়ুন:
গত ২৩ অক্টোবর রাতে স্মৃতি ও তার শিশু কন্যা মরিয়মকে নিয়ে স্মৃতির বাড়ির পাশে একটি পেয়ারা বাগানে দেখা করতে যান সুজন। সেখানে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্মৃতিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন সুজন। পরে ভবিষ্যৎ ঝামেলা এড়াতে হত্যা করা হয় শিশু মরিয়মকেও। এরপর স্মৃতির মরদেহ বস্তায় ভরে যমুনা নদীতে ফেলে দেন তিনি, আর শিশুটির দেহ রেখে যান নদীর পাড়ে।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে শিবালয় উপজেলার সাতুরিয়া গ্রামের বেড়িবাঁধের নিচে যমুনা পাড় থেকে উদ্ধার হয় তিন বছর বয়সী শিশু মরিয়মের মরদেহ। মরদেহটি বাড়িতে নেয়া হলেও তার মা স্মৃতি আক্তারের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শিশুটির বাবা আব্দুর রাজ্জাক শিবালয় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে স্মৃতি আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ও কথোপকথনের সূত্র ধরে অভিযানে নামে পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি কামাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রেমিক সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। বুধবার বিকেলে সুজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী যমুনা নদীতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধারে অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করেও মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। আলো স্বল্পতার কারণে অভিযান স্থগিত করা হয়। আজ সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস আবারও নদীতে অভিযান চালাবে। অভিযুক্তকে আজ আদালতে প্রেরণ করা হবে।’





