গত ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চর ধোপাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ মামলার ওই চার আসামি পলাতক থাকায় তাদের অবর্তমানে এ রায় প্রদান করা হয়। রায় ঘোষণার পাশাপাশি পলাতক সাজাপ্রাপ্ত ওই চার আসামির নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ওই চার ব্যক্তি হলেন, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (৫৩), বোয়ালমারী উপজেলার গুণবাহা ইউনিয়নের গুণবাহা গ্রামের কামরুল হাসান ওরফে কামরুজ্জামান (৪৫), বোয়ালমারী চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান ওরফে মনির (৪০) ও একই ইউনিয়নের চর ধোপাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬০)।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ব্যক্তি হলেন, তপন রায় (৩০) ও নিকলাল মাঝি (৩৫)। এরা বোয়ালমারীর চর ধোপাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপুল কুমার বাকচীর বাড়ির ভাড়াটিয়া। দেশব্যাপী জেএমবি (জামাত-উল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) তৎপরতার মাঝে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে তিনটার মধ্যে অজ্ঞাত ঘাতকরা ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তদের কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক বিপুল কুমার বাকচী বাদী হয়ে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলাদায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুলতান মাহমুদ ২০০৭ সালের ২৮ মার্চ ওই চার ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের সরকার পক্ষের কৌশলী (পিপি) মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘বহু বিলম্বে হলেও এ জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট।’





