চুল পড়া বন্ধে যে ৫ খাবার রাখবেন আপনার খাদ্য তালিকায়
ডিম
ডিমে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ভিটামিন বি (বিশেষ করে বায়োটিন), যা চুলের গোড়া মজবুত করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুলকে করে তোলে আরও লম্বা ও ঘন। নিয়মিত ডিম খেলে শুধু চুল নয়, ত্বক ও নখও হবে আরও স্বাস্থ্যকর। চুলের মূল উপাদান কেরাটিন গঠনে এ দুটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাদাম ও বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাবার
চুল পড়া কমাতে প্রতিদিনের খাবারে কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া ও তিসির বীজ রাখুন। এ খাবারগুলিতে রয়েছে বায়োটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া রোধ করে। নিয়মিত বাদাম ও বীজ খেলে চুল হবে ঘন, মসৃণ ও উজ্জ্বল। সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান ও সঠিক ঘুমও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সমান জরুরি
দুগ্ধজাত খাবার
দুগ্ধজাত খাবার যেমন দুধ, দই, পনির বা ছানায় রয়েছে প্রচুর ক্যালশিয়াম ও বায়োটিন। যা শুধু হাড় নয়, চুলেরও যত্ন নেয়। ক্যালশিয়াম চুলের গোড়া মজবুত করে। ফলে চুল পড়া কমে। অন্যদিকে বায়োটিন চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে এবং চুলকে ঘন ও উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি গ্লাস দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার রাখলে চুল থাকবে আরও স্বাস্থ্যবান ও মজবুত।
মাছ (বিশেষ করে স্যামন, রুই, কাতলা)
চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন, রুই বা কাতলা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ মাছগুলিতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও স্ক্যাল্পের শুষ্কতা কমায়। নিয়মিত মাছ খেলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল হয় আরও ঘন ও উজ্জ্বল।
কালোজিরা
কালোজিরা শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, চুলের যত্নেও দারুণ কার্যকর একটি প্রাকৃতিক উপাদান। এতে রয়েছে নাইজেলোন ও থাইমোকুইনন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ। যা চুলের গোড়া মজবুত করে, খুশকি ও স্ক্যাল্পের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কালোজিরা তেল নিয়মিত মাথার ত্বকে মালিশ করলে রক্ত চলাচল বাড়ে। ফলে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং চুল পড়া অনেকটাই কমে। এছাড়া এটি চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এনে দেয় ও ভাঙা চুলের সমস্যা দূর করে।
চুলের যত্নে সঠিক খাবারের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায় নিয়মিত মেনে চললে চুল পড়া অনেকটাই কমানো সম্ভব।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার চুলের ফলিকলকে পুষ্টি দেয় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি পেঁয়াজের রস বের করে তুলো দিয়ে মাথার ত্বকে লাগান। ২০–৩০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার করলে ফল পাবেন দ্রুত।
অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও চুল পড়া রোধ করে। এটি খুশকি দূর করে ও স্ক্যাল্পকে ঠাণ্ডা রাখে। তাজা অ্যালোভেরা জেল সরাসরি মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত করলে চুল হবে ঘন, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর।
ডিমের মাস্ক
ডিমে প্রচুর প্রোটিন ও বায়োটিন থাকে, যা চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। একটি ডিম ফেটিয়ে সরাসরি মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। ২০–৩০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করলে চুল হবে আরও ঘন, মজবুত ও উজ্জ্বল।
অতিরিক্ত কিছু টিপস
- নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে
- চুল ধোয়ার সময় ঠান্ডা পানি ব্যবহার
- মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
- হালকা তেলের মালিশ করুন
- সপ্তাহে ২–৩ বার হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করুন





