গাজা ইস্যুতে আসলে হচ্ছে কী!

হামাস যোদ্ধারা
হামাস যোদ্ধারা | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশ সেনা পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে বলে ট্রুথ সোশ্যালে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। যুদ্ধবিরতি শর্ত অনুযায়ী আরও ২ ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। এদিকে ইসরাইলের হস্তান্তর করা ফিলিস্তিনিদের মরদেহে পাশবিক নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়(Gaza Health Ministry)। এদিকে রাফাহ ক্রসিং(Rafah Border Crossing) খুলে না দেয়াসহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে আলোচনার জন্য তুরস্কে গেছে হামাসের প্রতিনিধি দল।

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তুরষ্কে হামাসের প্রতিনিধি দল - Hamas delegation in Turkey for ceasefire talks

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের পরও, এটি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে যাচ্ছে হামাস ও ইসরাইল। গাজায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশের জন্য রাফাহ ক্রসিং খুলে দেয়ার কথা থাকলেও, এখনো তা বন্ধ রাখায় ক্ষোভ বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। মঙ্গলবার এ নিয়ে আলোচনার জন্য তুরস্কে গেছেন হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত বারবার ভঙ্গ করছে তেল-আবিব। তারপরও এটি মানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি।

এছাড়া, জেরুজালেমকে (Jerusalem) রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (Palestinian state) ঘোষণা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার বলে তুর্কি কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন হামাসের প্রতিনিধি দলের প্রধান মুজাহিদ মুহাম্মদ দারবিশ (Mujahid Muhammad Darwish)।

গাজায় আরও ত্রাণের অনুমতি চায় জাতিসংঘ - UN seeks permission for more aid to Gaza,

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে ভুগতে থাকা ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় গাজায় আরও বেশি ত্রাণসামগ্রী (humanitarian aid) প্রবেশের অনুমতি চায় জাতিসংঘের (UN) মানবিক সংস্থাগুলো ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মুখপাত্র আবির ইতেফা বলেন, ‘এ মুহূর্তে সকল বর্ডার খুলে দেয়া উচিত। আমরা কথা বলার পর শুক্রবার থেকে কেরেম শালোম ও কিছুফিম ক্রসিং দিয়ে খাদ্য প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছি। তবে এর মাধ্যমে আমরা গাজার উত্তর অংশে পৌঁছাতে পারছি না।’

যুদ্ধবিরতির পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় সংস্থাটি ৬ হাজার ৭০০ মেট্রিক টনেরও বেশি খাদ্য সরবরাহ করেছে। অনুমতি পেলে উপতক্যাটিতে আরও বেশি মানবিক সামগ্রী (humanitarian supplies) পাঠানো যাবে।

দুই ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর - Bodies of two Israeli hostages handed over,

অন্যদিকে, তেল আবিবের কাছে রেড ক্রসের মাধ্যমে আরো দুই ইসরাইলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করেছে হামাস। যাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। যুদ্ধবিরতি শর্ত অনুযায়ী মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫ জিম্মির মরদেহ ফেরত পাঠালো ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি। তবে এখনও ১৩ জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি হামাস।

আরও পড়ুন:

হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান - calls on hamas to surrender weapons

সবকিছুর মধ্যেও, প্রত্যাশার চেয়েও গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট। গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু করতে আলোচনার জন্য ইসরাইলে অবস্থান করছেন তিনি।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির জন্য প্রেসিডেন্ট যে ২০ দফা শর্ত দিয়েছেন তা শুধু ইসরাইল নয়,বরং সকল উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলো দ্বারা সমর্থিত। আর এতে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত আছে। তাদের এটি মানতে হবে।’

এসময় তিনি হামাসের কাছে থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন। জানান, তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তার আহ্বান সত্ত্বেও তেল-আবিবে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা।

জিম্মি পরিবারের সদস্যরা বলেন, এখনো ১৫ জিম্মির পরিবার তাদের ফেরত আসার আশায় দিন কাটাচ্ছে। আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর আরেকবার ভরসা রাখতে চাই।

হামাস নির্মূলে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ গাজায় নিজেদের বাহিনী পাঠাতে চায় ট্রুথ সোশ্যালে এমন দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তবে ঠিক কোন কোন দেশ তাকে এ প্রস্তাব জানিয়েছে তা স্পষ্ট করেননি বার্তায়।

ইএ