কানাডায় শীতের আগমনী বার্তা; অপরূপ সৌন্দর্যে বিমোহিত পর্যটকরা

কানাডায় শরতের আবহ
কানাডায় শরতের আবহ | ছবি: এখন টিভি
1

রঙিন পাতায় ছেয়ে গেছে কানাডার বিভিন্ন শহর থেকে গ্রাম। গাছে গাছে যেন এক অদ্ভুত লাবণ্যের উপস্থিতি। শীত আসার আগের এ সময়টায় অপরূপ সৌন্দর্য বিমোহিত করে স্থানীয় তো বটেই, নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকদের।

চারদিকে রঙিন আবহ। শিল্পীর কারুকার্যের রঙ যেন বাস্তবে, পরতে পরতে। কানাডায় ম্যাপেলসহ বিভিন্ন গাছের পাতার রঙ পরিবর্তন ঘটে মূলত শরৎকালে, যখন পাতাগুলো সবুজ থেকে উজ্জ্বল লাল, কমলা কিংবা হলুদে পরিণত হয়। শীত আসার আগের এই রূপ অসাধারণ অনুভূতি জাগায়। 

কেবল কানাডাই নয়, পুরো আমেরিকা অঞ্চলেই এই সৌন্দর্যের দেখা মেলে অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে।

এক বাংলাদেশি পর্যটক বলেন, ‘এখন এখানে “ফল সিজন” চলে। “ফল” সিজন মানে উৎসবের আমেজ, শীতের আগমনী বার্তা। ফল মানে অনেক আনন্দ, ফল মানে রঙিন। আমরা ফলটাকে অনেকে বিভিন্নভাবে উপভোগ করে থাকি।’

আরও পড়ুন:

আরেকজন বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে বর্তমানে চলছে “দ্যা সিজন অব অটাম”, বাংলায় যাকে আমরা শরৎকাল বলি। আমরা এখন ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গাছের পাতায় বিভিন্ন রং দেখতে পাচ্ছি। যেমন- হলুদ, টিয়া, গাঢ় সবুজ, খয়েরি এমনকি লাল রঙের পাতাও আমরা দেখতে পাচ্ছি। একটু একটু শীত আসতে শুরু করেছে। এরপর পাতা ঝরে যাবে এবং শীতের জন্য আমরা একটু একটু করে তৈরি হচ্ছি।’

আদতে গ্রীষ্ম শেষে হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে গাছের ক্লোরোফিল উৎপাদন কমে যায়, এতে সবুজ সরে অন্যান্য রঙের আধিক্য দৃশ্যমান হয়। তখন প্রকৃতি এক মনোমুগ্ধকর রূপে সেজে ওঠে।

পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাসে সব থেকে বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন কানাডার প্রদেশগুলো ভ্রমণে।

এসএইচ