বাংলাদেশ ও নেপালের পর জেন-জিদের তীব্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পর সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত হন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। এরপর গত শুক্রবার দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্যাপসাট নামক সামরিক শাখার কর্নেল মাইকেল রান্দ্রিয়া-নিরিনা। তার দাবি, মাদাগাস্কারের সাধারণ মানুষের আহ্বান তাকে ক্ষমতা নিতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
আন্দোলনের সময় তার নেতৃত্বাধীন ক্যাপসাট ইউনিট জেন-জিদের পক্ষ নিয়েছিল। কিন্তু রান্দ্রিয়া-নিরিনার ক্ষমতা গ্রহণের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে জেন-জিদের মাঝে।
মাদাগাস্কারের জেন-জি আন্দোলনের মুখপাত্র র্যান্ড্রিয়ামান্দ্রাতো ইলিয়ট বলেন, আমরা শুধু প্রতিবাদের জন্য কিংবা নতুন কারো কাছে ক্ষমতা তুলে দিতে আসেনি। আমরা হারিয়ে যেতেও চাইনা। রাষ্ট্র সংস্কারমূলক আলোচনায় থাকতে চাই এবং নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিনির্মাণে অংশ নিতে চাই।
আরও পড়ুন:
দেশটির আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে জেনজিরা প্রস্তুত বলেও জানান ইলিয়ট।
মাদাগাস্কারের জেন-জি আন্দোলনের মুখপাত্র র্যান্ড্রিয়ামান্দ্রাতো ইলিয়ট বলেন, নিজেদের সংগঠিত করতে কাজ শুরু করেছি। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল রয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে এবং আরও দায়িত্ব নিতে আমরা প্রস্তুত।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ১৯৬০ সালে ফ্রান্সের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর ২০২০ সাল পর্যন্ত মাদাগাস্কারের মাথাপিছু জিডিপি ৪৫ শতাংশ কমে গেছে। দেশটির অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ দৈনিক তিন ডলারের কম আয়ে জীবনযাপন করে। মাদাগাস্কারের রাজধানী আন্তানানারিভোর ভাঙ্গা ও পাথুরে রাস্তায় এখনো ভিক্ষুক ও ফেরিওয়ালাদের ভিড় লেগেই থাকে।
জেনজি আন্দোলনের নেতা আলিসিয়া আন্দ্রিয়ানা মিহাজা বলেন, আমরা চাই মাদগাস্কারের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হোক। পেছন থেকে কেউ যাতে সামরিক সরকারকে প্রভাবিত না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমরা চাই শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, পুরো ব্যবস্থার পরিবর্তন হোক। আমাদের প্রত্যাশা, নতুন সরকার এটি নিশ্চিত করবে।
বিদ্যুৎ ও পানির সংকটকে কেন্দ্র করে গেল মাসের ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া তরুণ প্রজন্মের আন্দোলন সরকারি দমন-পীড়নের কারণে রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে। এতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন।





