যাত্রীবহনে আবেদন ফুরালেও শিল্পখাতে টিকে আছে বাষ্পচালিত ট্রেনের ইঞ্জিন

বাষ্প ইঞ্জিনচালিত ট্রেন
বাষ্প ইঞ্জিনচালিত ট্রেন | ছবি: সংগৃহীত
0

১৯২০'র দশকে নির্মিত বাষ্পচালিত ট্রেনের ইঞ্জিন। যাত্রীবহনে আবেদন ফুরালেও শিল্পখাতে ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে আজও। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নির্মিত ন্যারো গেজ রেলপথে ধোঁয়া উড়িয়ে স্টিম লোকোমোটিভের দেখা ইউরোপে মেলে শুধুই বসনিয়ায়।

এ যেন শিল্প বিপ্লবের শতক চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে ওঠা। ইউরোপের শেষ বাষ্পচালিত ট্রেনের ইঞ্জিন. কেবল স্মৃতিচারণ নয়, নিত্যদিনের কাজে সক্রিয় ব্যবহার চলছে শত বছর পরও।

দক্ষিণপূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপ অঞ্চলে অবস্থিত বসনিয়া ও হাৎজেগোভিনার বানোভিচি কয়লা খনি। অভ্যন্তরীণ স্বল্পপথে কয়লা টানতে আজও যেখানে ব্যবহৃত হচ্ছে স্টিম লোকোমোটিভ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নির্মিত খনির ন্যারো গেজ রেলপথে আজও চলছে শতবর্ষী এসব ইঞ্জিন।

বানোভিচির কয়লা খনিতে সরাসরি উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হতো এসব যন্ত্র। এর ওপর মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করতো। বহুদিন ধরে এটি কাজ করছে, আরও অনেকদিন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

কয়লার আগুন আর বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের এই লোকোমোটিভ আধুনিক শিল্পখাতে দিনে দিনে বিরল হয়ে উঠেছে। ন্যারোগেজ রেলপথে ইউরোপে একমাত্র বসনিয়াতেই আজও সচল এ ধরনের ইঞ্জিন।

আর কোথাও এখন এই লোকোমোটিভের দেখা মেলে না। আমাদের দু'টো মডেলের লোকোমোটিভ আছে। ৮৩-১৫৮ আর ৮৩-১৫৯। ন্যারোগেজ রেলপথেই শুধু এ লোকোমোটিভগুলো চলতে পারে। এটা স্টিম লোকোমোটিভ, কয়লার আগুনে চালিত এবং বাষ্প থেকে শক্তি পায়।

যাত্রীবহনে ১৯২০'র দশকে নির্মিত এসব ইঞ্জিনের আবেদন ফুরিয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু শিল্পখাতে ধুঁকে ধুঁকে টিকে আছে বলেই খনির বুক চিরে চলতে থাকা আর বাষ্প বেরোতে থাকার দৃশ্য মনে করিয়ে দেয় শিল্পবিপ্লবের গৌরব; যে ইতিহাস আধুনিক ইউরোপের প্রাচীন ভিত্তিপ্রস্তর।

এএইচ