ক্ষমতায় থাকাকালীন সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশটির জনগণের ওপর যে ধরণের নির্যাতন করে গেছেন, তার ক্ষত চিহ্ন আজও বয়ে বেড়াচ্ছে সিরিয়া মাটি। এবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে সেই তথ্য । মঙ্গলবার এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
আরও পড়ুন:
যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালে সিরিয়ায় 'অপারেশন মুভ আর্থ' নামে বিশেষ এক ধরণের অভিযান চালিয়েছে বাশার আল-আসাদ। এই অভিযানে রাজধানী দামেস্কের মরুভূমি থেকে হাজার হাজার মরদেহ গোপনে অন্যত্র সরিয়ে নেন তিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতেই মূলত তার এ ধরণের কর্মকাণ্ড।
দামেস্ক থেকে ধুমাই শহরের মরুভূমিতে এসব মরদেহ সরিয়ে নেয় বাশার আল-আসাদের সেনারা। মরদেহ সরানোর সঙ্গে জড়িত ছিলো এমন ১৩ জনের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স। প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও উভয় জায়গার স্যাটেলাইট ছবি পর্যবেক্ষণ করে তারা। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ধুমাইয়ের এই গণকবরে প্রায় ১৫ মিটার থেকে ১৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ১৬টি এবং প্রায় ২০ মিটার থেকে ১২৫ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩৪টি পরিখা খুঁজে পেয়েছে। যেখানে হাজার হাজার মরদেহ দাফন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশ্য এ বিষয়ে কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি সিরিয়ার বর্তমান সরকার আহমেদ আল-শারা ও তার প্রশাসন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধানে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দেশটির নতুন সরকার। সিরিয়ার মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ। মরদেহ এভাবে স্থানান্তর করায় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। তবে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তাদের নিখোঁজদের সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চালু হতে পারে বলে জানায় তারা।





