দুটি মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দুদকে তাকে তার সম্পদের বিস্তারিত বিবরণী জমা দিতে বলা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৫৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪৭ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করে ভিত্তিহীন তথ্য দেয়া হয়। এছাড়া দাখিলকৃত ওই সম্পদ বিবরণীতে ২০ লাখ টাকা ঋণেরও তথ্য দেয়া হয় যা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এছাড়া, ওয়াদুদের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৪ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ-দখলে রাখার অভিযোগ রয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
২০০২ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন:
ওয়াদুদের পাশাপাশি তার স্ত্রী রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে একই সময় দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। তখন তিনিও দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে রুমা ৭৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৮৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেন বলে জানা যায়।
রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে আরও এক কোটি ১১ লক্ষ ৮২ হাজার ১৩৭ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ভোগ-দখলে রাখার অভিযোগও আনা হয় ওই মামলায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের সহকারি পরিদর্শক মো. শামীম জানান, ওয়াদুদ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় রোববার ফরিদপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে দুদকের পক্ষ থেকে এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলা দুটি তদন্ত করবেন দুদক ফরিদপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সর্দার আবুল বাসার। তদন্ত শেষে তিনি এ ব্যাপারে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেবেন।
তবে দুদকের এ দুটি মামলার বিষয়ে জানার জন্য ওয়াদুদ মাতুব্বর এবং তার স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।





