অ্যানথ্রাক্স কী এবং এই রোগ যেভাবে ছড়ায়
অ্যানথ্রাক্স একটি মারাত্মক প্রাণীবাহিত সংক্রামক রোগ, যা ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস নামের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ঘটে। সাধারণত গরু, ছাগল ও ভেড়া আক্রান্ত হয়।
এই জীবাণু স্পোর আকারে মাটিতে দীর্ঘসময় টিকে থাকে। পশু যদি এমন ঘাস খায় এবং মুখে ক্ষত থাকে, তবে জীবাণু দেহে প্রবেশ করে অসুস্থতা সৃষ্টি করে। আক্রান্ত পশুর মাংস, রক্ত বা চামড়ার সংস্পর্শে মানুষও সংক্রমিত হতে পারে। তবে মানুষ থেকে মানুষে এ রোগ ছড়ায় না।
অ্যানথ্রাক্স রোগের লক্ষণ
অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ জীবাণুর প্রবেশ মাধ্যমের ওপর নির্ভর করে। মাংস খাওয়ার ফলে আক্রান্ত হলে সাধারণত বমি, রক্তমিশ্রিত বমি, পেটব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধাহীনতা, জ্বর ও গলা ব্যথা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে পাতলা রক্তমিশ্রিত পায়খানাও হতে পারে।
আরও পড়ুন:
শ্বাসের মাধ্যমে সংক্রমণ হলে শুরুতে গলা ব্যথা, জ্বর, ক্লান্তি ও পেশি ব্যথা দেখা দেয়। পরে বুকে অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট ও রক্তমিশ্রিত কফ হতে পারে। গলা ও কফে রক্তের উপস্থিতি, তীব্র জ্বর, মাথায় প্রদাহ এবং রক্তচাপ কমা লক্ষ্য করা যায়।
অ্যানথ্রাক্স রোগের প্রতিকার
ত্বকের মাধ্যমে রোগ ছড়ালে ত্বকে পোকার কামড়ের মতো ফোলা ক্ষত হয়, সঙ্গে চুলকানি থাকে। পরে ক্ষত ব্যথাহীন হয়ে যায় এবং কালো রঙ ধারণ করে। ক্ষতের আশেপাশে ফোলা দেখা দিতে পারে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর থাকে।
অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য সম্পূর্ণ সেদ্ধ মাংস খাওয়া উচিত। কাঁচা মাংস বা সঠিকভাবে রান্না না করা খাবার এড়াতে হবে। ত্বকে যদি কোনো ক্ষত বা কাটাছেঁড়া থাকে, তবে কাঁচা মাংস বা অপ্রস্তুত পশুর সঙ্গে কাজ করার সময় গ্লাভস ব্যবহার করা জরুরি।
যাদের গবাদিপশু পালন রয়েছে, তাদের নিয়মিত পশুকে অ্যানথ্রাক্সের টিকা দেয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অসুস্থ পশুর যত্ন নেয়া ব্যক্তিদের অবশ্যই সুরক্ষাসামগ্রী ব্যবহার করতে হবে ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
এছাড়া আক্রান্ত পশুর মাংস, রক্ত বা চামড়ার সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।





