বর্তমানে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগে উঠে আসে বিগত আওয়ামী শাসনামলে ক্রিকেট বোর্ডে নাজমুল হাসান পাপনের একক আধিপত্যের কথা। শোনা যায়, ক্ষমতার মসনদে বসে থাকা পাপনের পাপেট হয়ে ছিলেন পরিচালক থেকে শুরু করে অনেক ক্রীড়া সংগঠক, তাতে ক্রিকেটের উন্নয়নে যোগ্য সংগঠকরা পাত্তা পাননি সেভাবে।
তবে দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আশার আলো জ্বলেছে বঞ্চিত সংগঠকদের মনে।ক্যাটাগরি ১ থেকে ১৮, ক্যাটাগরি ২ থেকে ৩০ আর ক্যাটাগরি ৩ থেকে ৩ জনসহ শুরুতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচন করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন ৫১ জন।
তবে তামিম ইকবালসহ একে একে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে চূড়ান্ত তালিকায় ছিলেন ৩৩ জন। তবে নির্বাচনের একদম শেষ সময়ে ক্লাব ক্যাটাগরির লুতফর রহমান সরে গেলে শেষ পর্যন্ত টিকে আছেন মাত্র ৩২ জন পরিচালক পদপ্রার্থী।
দেশের ইতিহাসে ক্ষণে ক্ষণে রং বদলানো বিসিবির আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সাবেক পরিচালক খন্দকার জামিল উদ্দিন।
আরও পড়ুন:
খন্দকার জামিল বলেন, ‘৬ অক্টোবর যদি নির্বাচন হয়ও, যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচনটা হতে যাচ্ছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। খুব আশা করেছিলাম যে, এবার খুব ভালো একটা পরিবেশের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হবে, তরুণ-প্রবীন মিলিয়ে ভালো সংগঠকরা ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নেবে, তবে দিন শেষে সেরকম কিছুই হয়নি।’
এদিকে এ নির্বাচন ঘিরে নানা নাটকীয়তায় ক্রিকেটের মূল উন্নয়নে কাজ করার মতো দক্ষ সংগঠকরা হারিয়ে গেছেন ক্ষমতার লোভে লড়াইয়ে নামা প্রার্থীদের ভিড়ে— এমনটাই মনে করেন বোর্ডের সাবেক এ পরিচালক এবং ক্রীড়া সংগঠক।
খন্দকার জামিল বলেন, ‘এ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো সেরকম দক্ষ ক্রীড়া সংগঠক, আমার নজরে পড়ছে না। হাতে গোনা দুই-চারজনকে দেখছি, তবে এ দুই-চারজন, পাঁচজন পরিচালক দিয়ে এ মহাযজ্ঞ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে যাবে। এতে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
তবে বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের কাঙ্খিত এই নির্বাচন সময়মতো না হলে আইসিসি থেকে আসতে পারে বিধিনিষেধ। সেই শঙ্কাও বাতাসে উড়িয়ে দিতে চান না এই পরিচালক।





