পঞ্চমী থেকে শুরু হয়েছিলো ভক্তদের উল্লাস। ষষ্ঠীর বোধন, সপ্তমী-অষ্টমীর পূজা আর নবমীর আনন্দে কেটেছে গেলো কয়েকটি দিন। কিন্তু পঞ্জিকার পাতায় দশমী মানেই বিদায়ের সুর।
শঙ্খ, কাঁসর-ঘণ্টা, ঢাক-ঢোল আর উলুধ্বনিতে মুখরিত মণ্ডপগুলো। একদিকে বিদায়ের যাতনা, উৎসবের উচ্ছ্বাস দুটিই মিলেমিশে একাকার বিজয়া দশমীর দিনে।
সকালে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিহিত পূজা দিয়ে শুরু হয় বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতা। প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে শেষ দিনে করা হয় আরাধনা। এরপর দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে প্রতীকীভাবে বিদায় জানানো হয় দেবীকে।
দেবীর বিদায়ের এ দিনে আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দেয় সিঁদুর খেলা। সিঁদুর আলতা আর সুগন্ধি চন্দন, উলুধ্বনি দিয়ে দেবীকে বরণ করে পরস্পরের গাল রাঙিয়ে দেন পরমানন্দে। বিশ্বাস এভাবেই মহামায়ার আশীর্বাদে অটুট থাকবে দাম্পত্য সুখ ও কল্যাণ।
আরও পড়ুন:
পূজায় ভক্তরা জানান, ‘তারা অনেক আনন্দের সঙ্গে পূজা উৎযাপন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো ছিল। আগামী বছর আরও সুন্দর করে দেবি দুর্গাকে বরণ করতে চান ভক্তরা।’
পুরাণ মতে, মহিষাসুরকে দমন করতে ত্রিদেবের সম্মিলিত শক্তিতে জন্ম নেন দেবী দুর্গা। তাই তার আগমন মানেই শুভ শক্তির জয় আর অশুভ শক্তির বিনাশের বার্তা।
পূজায় পুরোহিত বলেন, ‘ষষ্ঠী থেকে পূজা করেছি। সমস্ত মেয়েরা যেন মায়ের কৃপা পায়। তাদের যেন বিয়ে হয়। যারা সন্তান লাভ করতে পারেনি তারা যেন সন্তান পায়।’
সনাতন শাস্ত্র মতে, মহিষাসুরের সঙ্গে নয় দিন নয় রাত যুদ্ধের পর দশম দিনে জয়ী হন দেবী দুর্গা। সেই যুদ্ধ জয়ের আনন্দে সামিল হতেই আজকের এ উৎসব।





