শিশুর পরিবার জানায়, আজ দুপুরে বাবা-মায়ের সঙ্গে জুমে সবজি আনতে গিয়েছিল নমি ত্রিপুরা। পাহাড় থেকে নামার সময় পা পিছলে নিচের ছড়ায় পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে সে। শিশুটির মায়ের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। আশপাশে কোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় শিশুটিকে দ্রুত বিজিবির বিওপিতে(বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট) নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
পরবর্তীতে বিজিবির বাঘাইহাট ব্যাটালিয়নের (৫৪ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন ফারুকীর দিকনির্দেশনায় বিওপির মেডিকেল সহকারী সিপাহি হাফিজ শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ব্যাটালিয়ন সদরের মেডিকেল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, দুর্গম এলাকায় কোনো হাসপাতাল না থাকায় চিকিৎসার জন্য বিজিবিই তাদের একমাত্র ভরসা। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে নমি ত্রিপুরার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হতো না বলে তারা জানান। এজন্য বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, এর আগেও বাঘাইহাটের দুর্গম নিউথাংলাক পাড়ায় বজ্রপাতে আহত এক মুমূর্ষু বিধবা নারীকে উদ্ধার করে তাকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে জীবন রক্ষা করে বিজিবি।





