এ অবস্থাতেও আজ (মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর শিরোইলের ঢাকা বাস কাউন্টারগুলো খোলা ছিল। ভোরে সেখান থেকে দু’টি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এ দিন সকাল ৮টার বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিলে শ্রমিকরা তাতে বাধা দেন। গাড়ি থেকে যাত্রীদের নামিয়ে টিকেট বাতিল করা হয়। এতে গন্তব্যে যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
এরপর ঢাকা বাস টার্মিনালের অন্যান্য কাউন্টারগুলোও বন্ধ করেন মালিকরা। এতে পঞ্চম দিনের মতো উত্তরবঙ্গের চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-নাটোর থেকে বাস চলাচল বন্ধ হলো।
গাড়ির মালিকরা বলছেন, এ অবস্থায় প্রতিদিন অন্তত চার থেকে ছয় হাজার যাত্রী ঢাকায় যাতায়াতে সমস্যায় পড়ছে আর লোকসান হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এ ঘটনায় গতকাল (সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার গাবতলীতে বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তিন জেলার পরিবহন শ্রমিক সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীরা বৈঠকে বসেন।
আরও পড়ুন:
তাতে মজুরি বাড়াতে রাজি হন বাস মালিকরা। ফলে ঢাকা-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী রুটে প্রতি চালক ১ হাজার ৭৫০ টাকা, সুপার ভাইজার ৭৫০ টাকা, হেলপার ৬৫০ টাকা করে পাবে বলে নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ঢাকা-কানসাট রুটে চালক পাবেন ১ হাজার ৯৫ টাকা, সুপারভাইজার ৮০০ টাকা এবং হেলপার পাবেন প্রতি ট্রিপে ৭০০ টাকা। পাশাপাশি খাবার খরচ ২১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকা করা হয়।
তবে এর সঙ্গে রাজশাহীর শ্রমিকদের একাংশ ঢাকা-রাজশাহী রুটের গাড়ি প্রতি তিনটি করে টিকিট ফ্রি দাবি করেছেন, যা পূরণ না হওয়ায় গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছেন তারা।
শ্রমিকদের একাংশের নেতা জিয়া জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর নওদাপাড়া বাস স্ট্যান্ডে বৈঠকে বসবেন তারা। এরপর এ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।





