হংকং ও চীনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে সুপার টাইফুন রাগাসা

রাগাসার আঘাত
রাগাসার আঘাত | ছবি: সংগৃহীত
0

ফিলিপিন্স ও তাইওয়ানে আঘাত হানার পর হংকং ও চীনের দিকে ক্রমেই অগ্রসর হচ্ছে সুপার টাইফুন রাগাসা। ফিলিপিন্সে রাগাসার তাণ্ডবে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এরইমধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ টাইফুন সতর্কতা জারি করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নাগাদ হংকংয়ে আঘাত হানতে পারে এ বছরের সবচেয়ে প্রলয়ংকারী টাইফুন রাগাসা। এরইমধ্যে দুর্যোগটি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চীন ও হংকং।

বছরের সবচেয়ে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সম্ভাব্য প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করছে হংকং। এরই মধ্যে দেশটির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতির শঙ্কায় খোলেনি অনেক দোকানপাট। বাতিল করা হয়েছে ফ্লাইট।

প্রবল বাতাসে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে বাড়িঘরের দরজা জানালা আটকে রেখেছেন হংকংবাসি। অনেকে আবার দুর্যোগকালীন খাদ্যের সংকট এড়াতে বাড়তি খাবার সংগ্রহ করে রাখছেন।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘দরজা-জানালা বন্ধ করে রেখেছি। সবসময় আবহাওয়ার জরুরি বার্তা ও আপটেডগুলোর খেয়াল করছি।’ আরেকজন বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পণ্য কিনেছি। গতকাল মাছ ও মাংসের দোকানগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে মুখর ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, সবাই নববর্ষের বাজার করছে।’

আরও পড়ুন:

হংকংয়ের আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ২২০ কিলোমিটার বেগে চীনের দক্ষিণের গুয়াংডং প্রদেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে টাইফুন রাগাসা। বুধবার নাগাদ হংকংয়ের উপকূলীয় এলাকা ও উঁচু ভূমিতে আঘাত হানতে পারে এটি। যার প্রভাবে বজ্রসহ ভারি বৃষ্টিপাত ও সমুদ্র উত্তাল হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

রাগাসার প্রভাবে হংকংয়ের উপকূলীয় এলাকাতে পানির উচ্চতা প্রায় দুই মিটার বাড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে হংকংয়ের আবহাওয়া বিভাগ। নিচু এলাকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি রক্ষায় বালুর ব্যাগ বিতরণ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

শুধু হংকং নয়, চীনের প্রযুক্তি নগরী শেনজেনও প্রস্তুতি নিচ্ছে টাইফুন মোকাবিলার। ৮০০ বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছে নগরটির কর্তৃপক্ষ।

এর আগে সোমবার ফিলিপিন্সের উত্তরপূর্বাঞ্চল দিয়ে বয়ে যায় সুপার টাইফুন রাগাসা। এর প্রভাবে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাত। আঘাতের সময় ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২৩০ কিলোমিটার। এতে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত তিনজন।

এদিকে টাইফুন আঘাত হানার আগেই তাইওয়ানের দক্ষিণ ও পূর্বের পাহাড়ি এলাকা থেকে সাত হাজারের বেশি বাসিন্দাকে অনত্র সরিয়ে নিয়েছে সরকার। বাতিল হয়েছে দুইশর বেশি ফ্লাইট। দুর্যোগে বিঘ্নিত হয়েছে রেল সেবাও।

সেজু