গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকার সাদের আলীর ছেলে মো. আবিদ, মুন্সিগঞ্জের হাসড়া এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. মাসুম, বাগেরহাটের মড়লগঞ্জের কুটিয়ালি শিকদারপাড়া গ্রামের মৃত আলী আক্কাস শেখের ছেলে হিরা মামুন ও ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার বিষ্ণপুর গ্রামের আ. সামাদ খানের ছেলে নুর ইসলাম ওরফে কালু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামুর্কি পল্লী বিদ্যুতে সামনে গরুবাহী পিকআপে ডাকাতি হয়। পরে ১২ সেপ্টেম্বর পিকআপের চালক মুখছেদ আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় ডাকাতি মামলা করে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধায়নে মামলাটি ডিবিকে (উত্তর) তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৮ সেপ্টেম্বর গেন্ডারিয়া থেকে আবিদকে ও সূত্রাপুর থেকে মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন:
আবিদ নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মাসুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাসুমের তথ্যের ভিত্তিতে ১৯ সেপ্টেম্বর গাবতলী থেকে নুর ইসলাম ওরফে কালু ও নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড থেকে হীরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে লুণ্ঠিত পিকআপ ও দুইটি বাছুর উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও একটি বাছুর মারা গেছে ও অপর একটি বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়াও চারটি গাভী জবাই করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে। ডাকাত হিরা মামুন ও কালুর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ডাকাতি মাদকসহ ৯ টি করে মামলা রয়েছে।





