মৌলিক চাহিদা নাকি প্রতিরক্ষা, কোনটি বেশি জরুরি? মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্ভবত বেছে নেবেন দ্বিতীয়টি। কারণ আসন্ন বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আবাসনে বরাদ্দ কমিয়ে প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়াতে যাচ্ছে ট্রাম্প সরকার।
এবারের প্রস্তাবিত ফেডারেল বাজেটের কপি হাতে পেয়েছে রয়টার্স। যা পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রস্তাবিত বাজেটে কমানো হয়েছে ১৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার অর্থ। সামাজিক সুরক্ষা, মেডিকেয়ার প্রোগ্রাম ও জাতীয় ঋণ পরিশোধে বরাদ্দ কমানো হয়েছে ২৩ শতাংশ; যা ২০১৭ সালের পর সর্বনিম্ন। ইউএসএআইডি বন্ধ করায় পররাষ্ট্র দপ্তরে বরাদ্দ কমছে পাঁচ হাজার কোটি ডলার। অন্যদিকে, শিক্ষা দপ্তরকে বন্ধের লক্ষ্যে বরাদ্দ কমছে ১৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, গেলো বছরের চেয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটিতে বরাদ্দ বাড়ছে ৬৫ শতাংশ। যার মধ্যে পেন্টাগন পাচ্ছে এক লাখ কোটি ডলার। যা আগের বছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। এতে জাতীয় ঋণ বেড়ে যাবার শঙ্কা বিশ্লেষকদের।
এদিকে, শুক্রবার স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে এনপিআর ও পিবিএসের বরাদ্দ কমিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন গণমাধ্যম দুটি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বাজেটের ওপর আংশিকভাবে নির্ভরশীল। গেলো অর্থবছরে ব্রডকাস্টার দুটির সম্মিলিত বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি ডলারের বেশি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, গণমাধ্যমের বরাদ্দ কমানোর এখতিয়ার নেই হোয়াইট হাউজের।
ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্থনি ফার্গো বলেন, ‘এনপিআর ও পিবিএসের বাজেট কমানোর বিষয়ে ট্রাম্পের এখতিয়ার আছে কি না, এ বিষয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা আমরা দেখেছি; যেখানে ফেডারেল সরকারের এজেন্সিগুলোকে তহবিল দেয়ার এখতিয়ার কংগ্রেসের, হোয়াইট হাউজের নয়।’
এতকিছুর পরেও নিজ প্রশাসনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প। ট্রুথ স্যোশালে এক পোস্টে জানান, ট্রানজিশন স্টেজে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জীবনযাত্রার ব্যয় কমে আসায় ঋণের সুদের হার কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আহ্বান জানান তিনি।
বাজেট কমানোর সমান্তরালে চলছে কর্মী ছাঁটাই। এই তালিকায় যোগ হতে পারে সিআইএ। ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি থেকে ছাঁটাই করা হতে পারে ১২০০ কর্মী। বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও সংস্থাটির মুখপাত্রের দাবি, নতুন মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ট্রাম্প প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা নীতিকে প্রাধান্য দেবে সিআইএ।




