কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | ছবি: সংগৃহীত
0

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে দেয়া সাময়িকভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ (বুধবার, ২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের একদফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনের মধ্যে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কুয়েট ভিসি পদত্যাগের একদফা দাবিতে উত্তাল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। বিক্ষোভ মিছিল আর আমরণ অনশন অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বিস্তারিত পড়তে:

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আজ সকালে সশরীরে কুয়েট ক্যাম্পাসে যান শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে। এসময় শিক্ষার্থীদের অনশন ভেঙে আইনের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষা উপদেষ্টার আলোচনাতেও আসেনি কোনো সমাধান। একদফা দাবিতে এখনো অনড় শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে বিকেলে ৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিস্তারিত পড়তে:

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় কুয়েট।

ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এবং সকল আবাসিক হলগুলো আগামী ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হবে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর থেকে নানা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গত ১৩ এপ্রিল ক্যাম্পাসে ঢুকে হল খুলে দেয়ার জন্য দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ সাড়া দেয়নি। তারপর থেকে শিক্ষার্থীদের দেয়া ৬ দফা দাবি পরিণত হয় ভিসি-বিরোধী আন্দোলনে।

ইএ