তবে বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় এর অনুসন্ধান কার্যক্রম দুদকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, অভিযোগকারী গতকাল (মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় নেজারত বিভাগে থাকাকালে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিও ক্লিপ মারফত জানতে পারেন যে, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসি, রাজশাহীর অধীনস্থ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বেঞ্চ সহকারী অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম বিভিন্ন মামলায় জামিনপ্রাপ্ত চারজন আসামির পক্ষে বেলবন্ড দাখিলের সময় নগদ চারশ' টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছে এবং একই তারিখ বিভিন্ন অনলাইন প্রকাশিত সংবাদে আরও জেনেছেন যে, তিনি বিভিন্ন মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের পক্ষে বেলবন্ড দাখিলের সময় নগদ অর্থ দাবি, এজলাসে নথি উপস্থাপনের ক্ষেত্রে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নথি উপস্থাপন না করে স্বেচ্ছাচারিতা অবলম্বন, জাবেদা নকলের জন্য সংশ্লিষ্ট নথি নকলখানায় প্রেরণের ক্ষেত্রে অর্থ দাবি ও আদায় ইত্যাদি কার্যের মাধ্যমে অবৈধভাবে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করেন।
আদালত সূত্র থেকে জানা যায়, এই অভিযোগের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্ত বেঞ্চ সহকারীকে সরকারি কর্মচারী শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা-২০১৮ অনুসারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।