চৈত্রের খরতাপে গাছের পাতারাও ধুকছে এক ফোঁটা বৃষ্টির পানির অভাবে। তীব্র শোক লেগে আছে পথের ধুলোমাখা গাছের পাতায় পাতায়।
ঘরের বাইরে চৈত্রের চড়া রোদ সত্ত্বেও জীবিকার তাগিদে পথে বের হতে হয় শ্রমজীবী মানুষকে। রোদের তাপ থেকে বাঁচতে মাথা লুকানোর চেষ্টাও করেন কেউ কেউ। গত কয়েকদিনের তীব্র গরম কাহিল করেছে নগরীতে খেটে খাওয়া এই মানুষদের।
রিকশা চালকদের একজন বলেন, 'বাসায় থাকতে তো চাই কিন্তু বাসায় তো থাকা যায় না। সংসারে দুই-চারজন সদস্য রয়েছে। ঈদের বাজার করতে তো হবে।'
রিকশা চালকদের একজন বলেন, ‘কাজ না করলে তো খাবার খেতে পারবো না। বাচ্চাদের তো বাঁচাতে হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের মাঝেও রয়েছে অস্বস্তি। তীব্র গরমকে সঙ্গী করেই বাড়ি ফেরার পাশাপাশি শেষ মুহূর্তে কেনাকাটাও সারছেন অনেকেই।
এদিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, রংপুর, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বইছে মৃদু থেকে মাঝামাঝি দাবদাহ। বিশেষ করে সিরাজগঞ্জ ও যশোরে গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। শনিবার যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ঈদের সময় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।