আজ (মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ) ট্রাইব্যুনালে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে প্রসিকিউশন। এরমধ্যে রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার আছেন। তাদের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিমসহ ছয়জনকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে ৷
প্রসিকিউশনের আবেদনের উপর শুনানি করে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি বর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সরাসরি জড়িত।
এদিকে মোহাম্মদপুরের একটি হত্যা মামলায় আনসার সদস্য ওমর ফারুককে কারাগারে পাঠিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদ, নওফেল, আ.জ.ম. নাসিরসহ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ, যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের যারা নেতা, তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য আমরা আবেদন করেছিলাম। সেই ১৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।'
তিনি আরো বলেন, 'চট্টগ্রামের আরো একজন আসামি যিনি এই মুহূর্তে অন্য একটা মামলায় কারাগারে আটক আছেন, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাকে আমরা এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করি, সেটাও মঞ্জুর করা হয়েছে।’