সুইডিশ স্টার্টআপের চমক: শিখতে পারে রোবটিক কুকুর!

সুইডিশ স্টার্টআপের চমক: শিখতে পারা রোবটিক কুকুর!
সুইডিশ স্টার্টআপের চমক: শিখতে পারা রোবটিক কুকুর! | এখন
0

প্রাণহীন দেহ, অথচ প্রাণি! বাক্যটি শুনে অনেকেই হয়তো অবাক। শুনে বিশ্বাসযোগ্য না হলেও এমনি এক রোবটিক কুকুর তৈরি করেছে সুইডিশ এআই স্টার্টআপ কোম্পানি ইন্টুইসেল। যার রয়েছে অন্যসব প্রাণির মতোই শিখতে পারা ও কাজ করার ক্ষমতা।

দেহে প্রাণের অস্তিত্বের লেশমাত্র নেই, কখনো অক্সিজেন নেয়ারও প্রয়োজন পড়ে না। তবুও এটি দেখতে অবিকল একটি প্রাণি। এই প্রাণহীন দেহে রয়েছে মানুষ অথবা অন্যসব প্রাণির মতোই সব কার্যক্ষমতা। আছে ধারণ করার ক্ষমতা ও কিছু কৌশল। এটি মূলত একটি কুকুর। যা আর্টফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআইয়ের নতুন এক সংযোজন।

কুকুরটির নাম রাখা হয়েছে লুনা। যার মধ্যে একটি ডিজিটাল স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে। প্রকৃত কুকুরের মতো অভিযোজনের সক্ষমতা এটিকে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। কুকুরটির অন্যান্য প্রাণীর মতো শিখতে পারা ও নতুন পরিবেশের সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নেয়ার সক্ষমতা রয়েছ।

সুইডিশ এআই স্টার্টআপ কোম্পানি ইন্টুইসেল এই রোবটটি তৈরি করেছে। এটি আসল কুকুরের মতোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন কাজ করার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয়া ও নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারাসহ অনেক কাজ করতে সক্ষম। লুনার মধ্যে রয়েছে একটি ডিজিটাল স্নায়ুতন্ত্র।

ইন্টুইসেলের ভিক্টর লুথম্যান সিইও বলেন, ‘এটি আমাদের তৈরি প্রথম সফটওয়্যার যা যেকোনো মেশিনকে মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর মতো শিখতে সাহায্য করে। লুনার কোন প্রাক-প্রশিক্ষণ নেই ও পটভূমিতে বিলিয়ন ডলারের ডেটা সেন্টার নেই। তবে একটি স্নায়ুতন্ত্র রয়েছে, যেটির মাধ্যমে মেশিনটি শিখতে পারে।’

নিউরনের সংযোগ স্থাপনের ওপর ভিত্তি করে ইন্টুইসেল লুনাকে হাঁটতে শেখানোর জন্য একজন প্রশিক্ষক নিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কুকুরটি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। উপলব্ধি করার ক্ষমতার কারণে এটি যেকারও সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানও করতে পারবে।’

এরই মধ্যে মহাকাশ ও গভীর সমুদ্রে অনুসন্ধানে নামার কথাও জানিয়েছেন সংস্থাটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা লুথম্যান। যেখানে মানুষের মতো প্রতিকূল পরিবেশেও টিকে থাকার লড়াই করবে এই রোবট কুকুর।

এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আবাসস্থল তৈরির কাজে লুনার মতো এআই মেশিন মঙ্গল গ্রহে পাঠানোর কথা ভাবছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই রোবট নতুন সমস্যার সমাধানে কার্যকর হবে বলেও আশা স্টার্টআপ কোম্পানির।

ইন্টুইসেল কোম্পানি সুইডেনের নেভিগার ভেঞ্চারস, নরওয়ের এসএনও ভেঞ্চারস এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত হয়। ২০২০ সালে সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এর যাত্রা শুরু হয়।

সেজু