তুলির আঁচড়ে প্রতিমার চোখের নকশার কাজ নিখুঁতভাবে সেড়ে নিচ্ছেন প্রতিমা শিল্পী ঝর্ণা পাল। ক্রেতার হাতে তুলে দিতে হবে বিদ্যা দেবীকে। তাই দম ফেলানোর সময় নেই তার। পারিবারিক কাজ শেষে ভোর থেকেই প্রতিমার রং আর সাজসজ্জার কাজে নেমে পড়েছেন সদর উপজেলার কোটাপড়ার ঝর্ণা পাল।
ঝর্ণা পাল মতো সদর উপজেলার কোটাপাড়া, ভেদরগঞ্জের কার্তিকপুর, ডামুড্যার কাইলাড়া আর গোসাইরহাটের দাসের জঙ্গলের প্রতিমা শিল্পীদের ফুরসদ নেই। সোমবার দেবীর চরণে ফুল দিবেন পূজারিরা। হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তাই প্রতিমার রং, শাড়ি পরানো, লেইজ পরানো, চুলের কাজ শেষেই ক্রেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন।
শরীয়তপুর কোটাপাড়া প্রতিমা শিল্পী ঝর্ণা পাল বলেন, ‘প্রতিমার পুরো কাজ আমাকে করতে হয়। পারিবারিক কাজ করলে আনন্দই হয়।’
কারিগররা বলছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে কয়েক গুণ কিন্তু বাড়েনি প্রতিমার দাম। তাই লাভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় তারা। তবে ভক্ত পূজারিরা দাম নিয়ে সন্তুষ্ট।
প্রতিমা শিল্পীদের একজন বলেন, ‘বর্তমান যে অবস্থা তাতে আমাদের প্রতিমা বানিয়ে তেমন লাভ থাকে না।’
পূজা উদযাপন কমিটি বলছেন প্রতি বছরের মতো এবারও সরস্বতী পূজার আয়োজন থাকবে জাকজমকপূর্ণ। সব ধরনের প্রস্তুতিও শেষ করেছেন তারা।
পূজা উদযাপন কমিটি সদস্য সত্যজিৎ ঘোষ বলেন, ‘রাত পোহালেই পূজা। এবারো আয়োজন থাকবে জাকজমকপূর্ণ।’
এ বছর শরীয়তপুরে পারিবারিক আয়োজন ছাড়াও ৩শ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।