উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, হতাশা আর প্রত্যাশা, যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও সব মিলিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত শান্তি এখনও ফিরে আসেনি গাজায়। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা থাকায় স্বল্প সময়ের উদযাপনে রাস্তায় নেমেছে গাজাবাসী। অব্যাহত সেনা অভিযানের কারণে বাস্তুচ্যুত গাজাবাসী দক্ষিণাঞ্চল থেকে ফিরতে শুরু করেছেন উত্তরে। যদিও, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতির কোন নামগন্ধই নেই।
একজন জানান, ঘরে ফিরছি, জানি না, ঘরবাড়ি অক্ষত আছে কিনা। আরেক অধিবাসী জানান, সত্যি ভালো লাগছে, বাস্তুচ্যুতরা এখন ঘরে ফিরবে এই প্রত্যাশাই করছি। গাজায় জয় হয়েছে।
এরমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলের রাফা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে শুরু করেছে আইডিএফ। তবুও, গাজাবাসীর আনন্দ বাঁধভাঙা হলেও থেকে যাচ্ছে শঙ্কা।
কারণ ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত গাজায় চলবে সামরিক অভিযান। হামলা করা হবে উপত্যকায়। সাধারণ মানুষে ঘরে ফেরার আনন্দের মধ্যেই এই হামলা, বিষাদে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই যখন অবস্থা তখন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, প্রথম ধাপে যে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে, তাদের তালিকা আগে প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে কার্যকর হবে না যুদ্ধবিরতি।
এমনকি আজও চালানো হতে পারে উপত্যকায় হামলা, রয়েছে এমন আশঙ্কাও। অন্যদিকে, হামাস বলছে, নানা জটিলতার কারণে এখনও কার্যকর হয়নি যুদ্ধবিরতি।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির কিছুক্ষণ আগেও গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত ক্যাম্প, দক্ষিণের রাফা আর খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় নতুন করে উত্তরাঞ্চলে হামলা করেছে আইডিএফ।
চুক্তি অনুযায়ী, ছয় সপ্তাহের প্রথম ধাপের এই যুদ্ধবিরতিতে ৩০ জনের বেশি বন্দিকে মুক্ত করবে হামাস। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিবে তেল আবিব।
গাজার ঘনবসতিপূর্ণ পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ফিরতে পারবে নিজ ঘরবাড়িতে। দ্বিতীয় আর তৃতীয় ধাপেও মুক্তি দিতে হবে বন্দিদের। সহযোগিতা করতে হবে গাজার পুনর্গঠনে।