রঙবেরঙের ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে মেহেরপুরের নার্সারিগুলো। ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে বর্ণিল প্রজাপতি। ফুল চাষে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন নার্সারির শ্রমিকরা।
বাগানিরা জানান, বাণিজ্যিকভাবে নার্সারিতে ফুলের চারা বিক্রির সবচেয়ে উপযুক্ত সময় শীত ও বসন্তকাল। এই সময় ফোটে গাদা, ডালিয়া, অতসী, রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, দেনথাস, ক্যালেন্ডলাসহ অর্ধশতাধিক ফুল। বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দা সাজাতে এসব ফুল কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে বাগানগুলোতে।
প্রতিটি নার্সারিতে গড়ে ১০ হাজার থেকে এক লাখ পর্যন্ত গাছের চারা তৈরি করেছে নার্সারি মালিকেরা। প্রকারভেদে প্রতিটি চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ২০০ টাকায়। বেচাকেনা বাড়ায় খুশি বাগানমালিকরা।
মেহেরপুর নার্সারি মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, ‘এগুলোর জন্য অনেক সময় বিদেশি সহায়তা দরকার হয় এটা যদি সরকার থেকে সহযোগিতা করে তাহলে নার্সারি মালিকদের অনেক সুবিধা হয়।’
চলতি মৌসুমী প্রায় ১০ লাখ ফুলের চারা উৎপাদনের আশা নার্সারি মালিকদের। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ১০ কোটি টাকার ফুলের চারা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
মেহেরপুর নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সামাদ বলেন, ‘মেহেরপুরে ৬ থেকে ৭শ নার্সারি আছে। এখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ চারা উৎপাদন হয়।’
মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক নার্সারি রয়েছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়াতে পারলে এ খাতে আরো বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।