এখন জনপদে
কৃষি
0

ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর কৃষকদের

স্বল্পসময়ে উৎপাদনশীল হলেও আশানুরূপ দাম মেলে না, কয়েকবছর আগে এমন পরিস্থিতির কারণে সরিষা আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কৃষকরা। তবে বর্তমানে ভোজ্যতেলের ঊর্ধ্বমূখী বাজার ও ভালো দাম পাওয়ায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে নওগাঁর কৃষকদের। চলতি মৌসুমে জেলায় ৬০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে চাষ হয়েছে সরিষার। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শুধু এই জেলা থেকে ৯৯ হাজার ১৬৫ টন সরিষা উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।

নওগাঁয় বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সর্ষে ফুল। যেন রাঙিয়ে দিয়েছে ফসলের মাঠ। শ্রম আর খরচ কম হওয়ায় মধ্যবর্তী ফসল হিসেবে বরেন্দ্র জেলাটির ১১টি উপজেলার মধ্যে ৯টি উপজেলায় সরিষাচাষ বেড়েছে।

মান্দা উপজেলার কুরকুচি গ্রামের কৃষক শ্রীপদ। গেলবছর ৭ বিঘা জমিতে দেশীয় জাতের সরিষাচাষ করে ফলন পেয়েছিলেন বিঘাপ্রতি ৬ মণ করে। যেখানে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করে লাভ হয় ৮০ হাজার টাকা। এবারও একই পরিমাণ জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন এই কৃষক।

ভোজ্যতেলের উচ্চমূল্যের কারণে সরিষাচাষ ঘিরে জেলার গ্রামীণ অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির হাতছানি। কৃষকদের আশা, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ভালো হওয়ার সাথে মিলবে আশানুরূপ দামও।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬০ হাজার ১শ' হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ জমিতেই উন্নত জাতের বারি-৪, ৫ ও বারি ৭ এবং ১৪ জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে।

এদিকে, ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে এবং আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষাচাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। এছাড়া কৃষকদের সার ও বীজ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতাও করছে কৃষি বিভাগ।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ভোজ্যতেলের চাহিদা অনেকটাই সরিষা তেল দিয়ে পূরণ করা সম্ভব এ লক্ষ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। যাতে তেল জাতীয় ফসলের আবাদ সম্প্রসারণ করা যায়।’

চলতি মৌসুমে জেলায় ৯৯ হাজার ১৬৫ টন সরিষা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা। যার বাজারমূল্য অনুমানিক ৭শ ৪৩ কোটি টাকার বেশি। সংশ্লিষ্টদের আশা চাহিদা অনুযায়ী সরিষার উৎপাদন বাড়ানো গেলে সয়াবিন আমদানিতে ব্যয় কমবে লাভবান হবে দেশের কৃষক।

এএম