শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টা। আগুন লাগে নোয়াখালীর মাইজদীর নুপুর ও হকার্স মার্কেটে। খবর পেয়ে ছুটে আসে ফায়ার সার্ভিস। শুরু হয় আগুন নেভানোর তৎপরতা।
নূপুর মার্কেট সংলগ্ন একটি ছাপাখানার ভেতর থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আগুন লাগার পরপরই মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।
একজন দোকানদার বলেন, ‘লেডিস আইটেম, ব্যাগ, বাচ্চাদের জুতা বিক্রি করতাম। আগুনে সব পুড়ে গিয়েছে। আমার পুরা লাইফ শেষ।’
আরেকজন বলেন, ‘এই মার্কেটের পাশে যে প্রিন্টিংয়ের দোকান রয়েছে সেখান থেকে আগুন লেগেছে।’
একে একে পুড়ে ছাই হয় প্রায় অর্ধশত দোকান। এর মধ্যে রয়েছে পাইকারি কাপড়, বাই সাইকেল ও জুতার দোকান। এছাড়াও ছাপাখানা, কাগজের গুদাম ও হোটেলসহ প্রায় ৫০টি দোকান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে ব্যবসায়ীদের মালামাল একদিকে যেমন পুড়ে ছাই হয়েছে, তেমনি আগুন নিয়ন্ত্রণের পর অনেক মালামাল লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘আমরা তো মালামাল যেভাবে পারছি দোকানের বাহিরে বের করেছি। এখান থেকে মালামাল লুট হওয়া শুরু করছে যে যেভাবে পারছে নিয়ে যাচ্ছে।’
আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির মোট পরিমাণ তদন্তের পর জানা যাবে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল হালিম পাশা বলেন, ‘আগুনের ভয়াবহতা দেখে আমরা এখানে ৮টি ইউনিট নিয়ে কাজ করেছি। ১১ টা ৩৫ মিনিটে খবর পায় আর ১২ টা ৩০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সক্ষম হই।’
আগুনে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।