উত্তর আমেরিকা
বিদেশে এখন
0

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল: কম বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা

গত চার দশক ধরে শীতকালে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার প্রধান কারণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এই অঙ্গরাজ্যে কম বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ কারণেই শীতকাল এলেই ঝড়ো গতির হাওয়ায় বিধ্বংসী রূপ নেয় দাবানল। এবারের দাবানলকে ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি ছাড়িয়ে যেতে পারে ১৫ হাজার কোটি ডলার।

গ্রীষ্ম এলেই প্রতিনিয়ত দাবানলের সঙ্গে লড়াই করে বাঁচতে হয় যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশকে। তবে শীতকালে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ দাবানলের দৃশ্য গত চার দশক ধরে যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

এই মুহূর্তে শীতকালীন দাবানলের লেলিহান শিখার প্রত্যক্ষ সাক্ষী লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দারা। দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। নজিরবিহীন এ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে হলিউড পাহাড়েও।

এই যখন অবস্থা, তখন প্রশ্ন উঠেছে, শীতকালে অন্যান্য শহর যখন শুভ্র তুষারের চাদরে ঢাকা থাকে তখন কেনো দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলের এমন আগ্রাসী থাবা? জবাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্যালিফোর্নিয়ায় তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জন ডুমাস বলেন, ‘প্রথমত, এখন জানুয়ারি মাস। সেই সাথে লস অ্যাঞ্জেলেসে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। বৃষ্টিপাতের দিক দিয়ে গত মে মাস থেকে এখন দ্বিগুণ শুষ্ক সময়। সাধারণত, এই সময়ে দাবানল এড়াতে কমপক্ষে ২-৩ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত লাগে। যা আমরা এখনও পাইনি।’

তিনি বলেন, ‘অতি শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে প্রবল বেগে বাতাস বইতে থাকায় শীতকালের দাবানল খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, আর এ কারণেই ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যায়। ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দাবানল।’

জন ডুমাস আরো বলেন, ‘অতিরিক্ত শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে, বাতাস দ্রুত এগোচ্ছে। তবে আমরা এখনও পর্যন্ত ঠিক কী কারণে এই আগুন লেগেছে তা জানি না ‘

বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরে দাবানলের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মত গবেষকদের। আঞ্চলিক ভিত্তিতে যেখানকার পরিবেশে দাবানলের উপযোগী সব ধরনের উপকরণ থাকে, সেখানেই ভয়াবহ রূপ দেখা দিচ্ছে দাবানল। প্রচণ্ড গরমের পর দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়াই বড় কারণ।

এএইচ